নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে পবিত্র ইদুল আজহা উপলক্ষে অসহায় লোকজনের মধ্যে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিক হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এসময় ছিনিয়ে নেয়া হয় তার ক্যামেরা, গিম্বেল, মুঠোফোনসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, টেপাখড়িবাড়ী ইউপি নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হওয়ায় অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকে ওই ইউনিয়নের সচিব। গত রোববার ভিজিএফ চাল বিতরণকালীন সময়ে প্রতি বস্তায় আট কেজি চাল কম দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গণমাধ্যম কর্মী আরিফুর রহমান ডালিম, মফিজুল ইসলাম, আব্দুল করিম যাদু, কামরুজ্জামান মৃধা টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে ভুক্তভোগীদের সাক্ষাতকার গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে ইউপি সচিব রফিকুল ইসলাম কোনো তথ্য না দিয়ে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক মো. রেজোয়ান ইসলাম জানান, ভিজিএফ সুবিধাভোগীরা জানান, চাল বিতরণের শুরু থেকেই চাল কম দেয়া হচ্ছে। পরে সাংবাদিকদের সহযোগিতায় চাল ওজন করলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ভিজিএফ সুবিধাভোগী নাজিবুল্লাহ বলেছেন, চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় চাল বিতরণ বন্ধ করেন সচিব। এর কিছুক্ষণ পর চাল বিতরণ শুরু হলে আমি চাল নিতে যাই। তখন গ্রামপুলিশের সদস্য রশিদুল ইসলাম আমাকে ধাক্কা ও বেধড়ক মারধর করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সচিব (ভারপ্রাপ্ত) মো. রমজান আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে ডিমলা থানার ওসি মো. লাইছুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টিএইচ