খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস থেকে কদমতলা পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণে আমা-ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস ও কদমতলা-সাহস এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ সালে ডুমুরিয়া উপজেলার এলজিইডি থেকে পশ্চাদপদ শোভনা-মান্দাতলা-মাগুরখালি এলাকার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা সুগম করার লক্ষ্যে ‘সাহস ইউনিয়ন পরিষদ অফিস থেকে কুমারঘাটা-আমতলা মোড় হয়ে কদমতলা খেয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের জন্য ঠিকাদার ইকবাল জমাদ্দারকে ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় কার্যাদেশ দেয়া হয়।
আর ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর সাবেক মন্ত্রী তথা ডুমুরিয়া-ফুলতলার এমপি নারায়ণ চন্দ্র ওই কাজের উদ্বোধন করেন। কার্যাদেশ পেয়ে দীর্ঘদিন পর ঠিকাদার রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করলে এলাকার মানুষ প্রতিবাদ শুরু করে। কিন্তু ইটসহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে কাজ বন্ধ হওয়ার আশংকায় এলাকাবাসী কিছুটা কম্প্রোমাইজ করে। কিন্তু ২য় স্তরে (টপে) সম্পূর্ণ ভালো খোয়া দেয়ার কথা থাকলেও কয়েকটি জায়গায় খুবই নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার শুরু করে।
বিশেষ করে পাতিবুনিয়া স্কুল থেকে কাকমারীর দিকে আধা কিলোমিটার রাস্তায় সব থেকে খারাপ খোয়া দেয়া হলে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গাজী আবদুল হালিমের উপস্থিতিতে গত ৫ এপ্রিল কাজ বন্ধ করে দেয়।
সাহস এলাকার শিমুল মণ্ডল বলেন, এখন এমন খোয়া দিচ্ছে, যা গাড়ি চালালে বা হাত দিয়ে চাপ দিলেই গুড়ো হয়ে যাচ্ছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমি সরেজমিন পরিদর্শন করে কিছু নিম্নমানের খোয়া দেখে গত রোববার সেগুলো অপসারণের জন্য লিখিত নির্দেশ দিয়েছি।
ওই রাস্তার ঠিকাদার ইকবাল জমাদ্দার বলেন, ভাটা থেকে আনার সময় কিছু ইট খারাপ আসতে পারে। আর আমি এখনো উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের কোনো চিঠি পাইনি। তবে চিঠিতে যেভাবে নির্দেশনা থাকে সেইভাবে কাজ করবো। সংশ্লিষ্ট শোভনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত বৈদ্য বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি।
টিএইচ