ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে ডেঙ্গু বিস্তার রোধে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মসিকের ১৮টি ওয়ার্ডে পরিচালিত ক্যাম্পেইনের আওতায় প্রাপ্ত এক তথ্যের বিশ্লেষণে দেখা গেছে এসব ওয়ার্ডের ৩ হাজার ৪৭২ টি বাসাবাড়ির ৭০ ভাগ এডিস মশার সম্ভাব্য উৎপত্তি স্থল মুক্ত।
৩০ ভাগ বাসাবাড়ি যেখানে এডিস মশার সম্ভাব্য উৎপত্তিস্থল রয়েছে এর ১৬ ভাগের উৎস ফুলের টব বা পাত্র, ১০ ভাগ বাসাবাড়ির চারপাশ এবং অন্য উৎপত্তিস্থল ৪ ভাগ। এসব বাসাবাড়ির শতকরা ৭৮ ভাগ মানুষ দিনের বেলা ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করেন না। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে নিযুক্ত সেভ দ্যা চিলড্রেনের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. ফাহমিদা ইসলাম লিমা।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় সেভ দ্যা চিলড্রেনের কারিগরি সহায়তা এবং ইউএস সিডিসির অর্থায়নে পরিচালিত হয় এ ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইন পরিচালিত ওয়ার্ডসমূহ হলো- ২, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৫, ১৭, ১৯, ২০, ২৫, ৩১, ৩২ ও ৩৩।
ডা. লিমা আরও জানান, সিটির এই ১৮ টি ওয়ার্ডের ৩২০ জন মানুষের মধ্যে পরিচালিত ক্যাম্পেইনে দেখা গেছে তাদের ৫০ ভাগ মানুষ ডেঙ্গু জ্বরের কারন সম্পর্কে এবং ৬৮ ভাগ মানুষ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে জানেন না।
যারা ডেঙ্গু রোগের কারন সম্পর্কে জানেন তাদের ৩৬ ভাগ মানুষ এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন এবং বাকি ১৮ ভাগ মানুষ তারা শুধু মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে ব্যবস্থা নেন। এ ক্যাম্পেইনে প্রাপ্ত আরও একটি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৪৭২ টি বাসাবাড়ির ৮০ শতাংশ বাড়িতেই পানি জমিয়ে রাখা হয় না।
যারা পানি জমিয়ে রাখেন তাদের ১৩ ভাগ এক দিনের বেশি এবং ৭ ভাগ ৩ দিনের বেশি পানি জমিয়ে রাখেন। এ অবহিতকরণ সভার সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন শুরু থেকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। মশক নিধনের পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রমও জোরদার করা হয়েছে। ক্যাম্পেইন থেকে প্রাপ্ত ফলাফল সিটি কর্পোরেশনের ডেঙ্গু প্রতিরোধে গৃহিত কার্যক্রমসূমুহকে আরও কার্যকর করবে।
অবহিতকরণ সভায় প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এইচ কে দেবনাথ, জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ মহাবুল হোসেন রাজীব, মেডিকেল অফিসার ডা. আসমাউল ইসলাম রূম্পা, খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
টিএইচ