নীলফামারীর ডোমার ভিত্তি বীজআলু উৎপাদন খামারে মানসম্পন্ন বীজআলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষকপর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে প্রকল্প পরিচালকের নির্দেশনা মোতাবেক চলতি উৎপাদন মৌসুমে ২৫৫ একর আউশ ধানবীজ (ব্রিধান৯৮ জাত) উৎপাদনের জন্য চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শ্রমিক-কর্মচারী থেকে শুরু করে কর্মকর্তারা সকলেই ব্যস্ত সময় পার করছেন। খামারের চতুর্দিকে ধান রোপণের কাজ চলছে পুরোদমে। চলতি মৌসুমে আধুনিক যান্ত্রিক উপায়ে কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহারের মাধ্যমে রোপণের কাজ চলছে। শ্রমিকরা বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে খুব সহজেই কাজ করতে পারছি।
এতে কষ্ট যেমন কমেছে তেমনি রোপণ কার্যক্রমের সময়ও কম লাগছে। যান্ত্রিক উপায়ে কাজ করার ফলে চলতি মৌসুমে রোপণ করতে আমাদের কষ্ট অনেকটা কম হচ্ছে।
ভিত্তিবীজ আলু উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক আবু তালেব মিঞা বলেন, আমরা এবার ২৫৫ একর জমিতে আউশ এবং ৮০ একর জমিতে আমন ধানবীজ উৎপাদনের লক্ষে রোপণ কার্যক্রম শুরু করেছি। আশা করছি এবার অধিক ফলন হবে।
তিনি আরও বলেন ২৫৫ একর জমিতে যে আউশ ধানবীজ লাগানো হবে তার উৎপাদন লক্ষমাত্রা ৪০০ টনের মত যা দিয়ে পরবর্তীতে ৪০ হাজার একর জমিতে আউশ আবাদ করা যাবে। অপরদিকে ৮০ একর জমিতে যে আমন ধানবীজ লাগানো হচ্ছে তার উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১০৫ টন। সেই বীজ দিয়ে পরবর্তীতে ১০ হাজার ৫০০ একর জমিতে বীজধান চাষ করা সম্ভব। আধুনিক যান্ত্রিক উপায়ে জমিতে ধান রোপণ করা হচ্ছে ও যান্ত্রিক উপায়ে কর্তন করা হবে।
তিনি জানান, খামারের এক ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে পরিনত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সব জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনতেও কাজ চলছে খামারে। খামারে ১৮ একর জমি বর্ধিত করা হয়েছে। ফলে উৎপাদন বেড়ে যাবে। ১২০ দিনের মধ্যে এসব ধান কর্তন করা যাবে।
বিগত বছরগুলোতে আলুবীজ উৎপাদনের পরে জমিগুলো পড়ে থাকতো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমি অনাবাদি থাকবে না, সে লক্ষ্যে জমি আউশ চাষাবাদ উপযোগী করে তোলা হয়েছে। এর আগে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি আলুবীজ উৎপাদন করে খামারের সুনাম বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপ-পরিচালক আবু তালেব মিঞা। বর্তমানে খামারের পরিবেশ গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক ভালো বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উপ-পরিচালক আবু তালেব মিঞা বলেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ ভাগ বেশি ফলন হবে। প্রতিটি জমিকে ফসলের আত্ততায় আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
টিএইচ