অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামের বাড়ি হাটহাজারীর শিকারপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডস্থ বাথুয়া গ্রামের হাজী দুলা মিয়া সড়কটির বেহাল দশা দেখা গেছে। এ কারণে স্থানীয় জনসাধারণ চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। সড়কের বেশ কিছু অংশ এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে, ওই রাস্তা দিয়ে বয়স্ক, রোগীদের চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯০ সালে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পিতা এবং তৎকালীন ব্যবসায়ী হাজী দুলা মিয়ার নামে এ সড়কটির নামকরণ করা হয়।
দুঃখজনকভাবে বর্তমানে সড়কের নাম ফলকটিও ভেঙে গেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ যাতায়াত করেন।
উপজেলার অন্য এলাকায় সড়ক উন্নয়ন হলেও, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি রাজনৈতিক কারণে অবহেলিত রয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা শহিদ, মোজাম্মেল, গিয়াস, মহিউদ্দিন মাহির অভিযোগ, শুধুমাত্র এই সড়কটি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাবার নামে হওয়ায় এটির উন্নয়ন হয়নি।
সিএনজি অটোরিকশা চালক সুমন, ফারুক, মনসুর, রফিক জানান, সড়কের বেহাল দশার কারণে তারা চরম দুর্ভোগে আছেন। যারা এই সড়কের উন্নয়ন আটকে রেখেছিল, তাদের পরিণতি ভালো হয়নি।
শিকারপুর ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল খালেক জানান, সড়কটির অবস্থা অত্যন্ত করুণ। তিনি নিয়মিত উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সড়কটি সংস্কারের চেষ্টা করছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সড়কটি অবহেলিত, এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, বরাদ্দ পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করতে হয় এবং তিনি তার পুর্বসূরীদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত নন।
চেয়ারম্যান আবদুল খালেক আরও জানান, তিনি সড়কটি সংস্কারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন এবং প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমেও সড়কটি সংস্কারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন, যাতে এলাকাবাসী দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পায়।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে আশ্বাস দিয়ে বলেন, সড়কটির ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউএনও এবিএম মশিউজ্জামান জানান, তিনি সমপ্রতি উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে সড়কটি পরিদর্শন করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত সড়কটি সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টিএইচ