দফায় দফায় বৃষ্টিপাতের কারণে তাহিরপুরের ৫টি ইউনিয়নে আমন ধান রোপণের ধুম পড়েছে। গত ১০-১২ দিন ধরে রাতে বৃষ্টিপাতের কারণে কোন ধরনের সেচযন্ত্র ছাড়াই কৃষকরা তাদের জমিতে ধান রোপণ করতে পারছেন।
কৃষকরা জানান, প্রতিদিন বৃষ্টিপাতের কারণে তারা শুধু হালচাষের টাকা ও শ্রমিক মজুরী দিয়েই তারা তাদের জমি রোপণ করতে পারছেন। তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে আমন ধানের চাষাবাদ হয়। ইউনিয়নগুলো হলো- বালিজুড়ি, বাদাঘাট, উত্তর বড়দল, দক্ষিণ বড়দল ও উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন।
এ বছর উপজেলা ৫টি ইউনিয়নের ৭৫০ কৃষককে প্রণোদনা হিসাবে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। বিগত বছর বন্যার কারণে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়। এ বছর যদি কোন দুর্যোগ দেখা না দেয় তাহলে চাষাবাদের পরিমান আরো বেশী হতে পারে।
উপজলার বাদাঘাট ইউনিয়নের জৈতাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুন নূর বলেন, তিনি এ বছর ৫০ কিয়ার (৩০ শতকে এক কিয়ার) আমন জমি চাষাবাদ করেছেন। যে সময় কিছুদিন খরা ছিল সে সময় সেচ দিয়ে কিছু জমি রোপণ করেছেন। তবে এখন ক্রমাগত বৃষ্টিপাতের কারণে সেচ ছাড়াই তারা হাওরের সকল কৃষক আমন ধান রোপণ করছেন।
তিনি আরও জানান, রোপণ শেষে যে সমস্যা সৃষ্টি হয় তা হলো- মাজরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া। সে বিষয়ে তিনি বলেন, আমি একজন সচল কৃষক, মাজরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তার জমিতে কীটনাশক ছিটিয়ে দিয়েও রক্ষা পান না। কারণ হলো এ কীটনাশক আশপাশের সকল জমিতে দিতে হয়।
মিজানুর মিয়া নামক এক কৃষক জানান, ক্রমাগত বৃষ্টিপাতের কারণে সেচ ছাড়াই জমিতে ফলস লাগানো হচ্ছে। এতে খরচ কিছুটা কমবে।
কৃষকদের দাবি, রোপণ কাজ শেষে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সরকারি উদ্যোগে সমস্ত কিত্তাতে (জমিতে) মাজরা পোকা দমনে কীটনাশক ছিটালে তাদের উপকার হবে।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাসান উদ-দৌলা বলেন, মাজরা পোকা দমনে কৃষকদের লাইনিং করে রোপণ ও পার্চিং পদ্ধতির পরামর্শ দিয়ে থাকি। তাছাড়া জমিতে মাজরা পোকা দমনে কৃষকরা যাতে তাদের জমিতে একসাথে কীটনাশক ছিটায় সে লক্ষে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করবো।
টিএইচ