তিনশ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে চলনবিল অধুষ্যিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্বরস্বতী পুজা উপলক্ষ্যে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী দইয়ের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার তাড়াশ ঈদগাহ মাঠে নামি দামি ঘোষদের দই আসার মধ্য দিয়ে দইয়ের মেলা শুরু হয়। মেলায় আসা এ অঞ্চলের দইয়ের স্বাদের কারণে নামেরও ভিন্নতা রয়েছে। যেমন-ক্ষীরসা দই, শাহী দই, চান্দাইকোনার, শেরপুরের দই, বগুড়ার দই, টক দই, ডায়েবেটিক, শ্রীপুরী দই এ রকম হরেক নামে ও দামের হেরফেরে শত শত মণ দই বিক্রি হয়।
এছাড়াও দিনব্যাপী ওই মূল মেলায় দইয়ের পাশাপাশি ঝুড়ি, মুড়ি, মুড়কি, চিড়া, মোয়া, বাতাসা, কদমা, খেজুর গুড় সহ রসনা বিলাসী খাবার বিকিকিনি হবে। বিশেষ করে বগুড়ার শেরপুর, রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা, ঘুড়কা, নাটোর জেলার গুরুদাসপুরের শ্রীপুর, উল্লাপাড়ার ধরইলের দই, পাবনা জেলার চাটমোহরের হান্ডিয়ালের দই, ডায়েবেটিক, তাড়াশের দই প্রচুুর বেচাকেনা হয়।
মেলায় আসা মহাদেব ঘোষ, বিমল ঘোষ, সুকোমল ঘোষসহ একাধিক ঘোষ জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দুধের দাম, জ্বালানি, শ্রমিক খরচ, দই পাত্রের মূল্য বৃদ্ধির কারণে দইয়ের দামও কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়েছে। তবে মেলা দিনব্যাপী হলেও চাহিদা থাকার কারণে মেলায় আসা কোন ঘোষের দই অবিক্রিত থাকে না।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রভাষক এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল বলেন, তৎকালীন সময়ে প্রতিবছর মেলায় আগত সবচেয়ে ভাল সুস্বাদু দই তৈরিকারক ঘোষকে জমিদারের পক্ষ থেকে উপঢৌকন দেয়ার রেওয়াজও ছিল এমনটিই আমরা জেনে এসেছি। তবে জমিদার আমল থেকে শুরু হওয়া ঐতিহ্যবাহী তাড়াশের দইয়ের মেলা এখনও মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতেই উৎসব আমেজে বসার বাৎসরিক রেওয়াজ এখনও চলছেই।
টিএইচ