শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

তেলের বাজেট না থাকায় লোডশেডিংয়ে হাসপাতালের জেনারেটর থাকে বন্ধ 

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

তেলের বাজেট না থাকায় লোডশেডিংয়ে হাসপাতালের জেনারেটর থাকে বন্ধ 

একদিকে প্রচন্ড গরম অপরদিকে ভয়াবহ লোডশেডিং। ঘনঘন লোডশেডিং ও প্রচন্ড গরমে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত রোগীদের একবারেই নাজেহাল অবস্থা। অসুস্থতা থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা প্রচন্ড গরমের কারণে সুস্থতার পরিবর্তে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। 

শতভাগ বিদ্যুতায়নের উপজেলাটিতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টায় গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে থাকে লোডশেডিং। হাসপাতালে হাই বোল্ডেজের জেনারেটর থাকলেও লোডশেডিং এর বেশির ভাগ সময় সেটিও বন্ধ রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  

জেনারেটরের তেলের জন্য কোন বাজেট না থাকার কথা জানান কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে লোডশেডিংয়ের সময় বিদ্যুতের  ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসাসেবা দিতে বেগ পোহাতে হচ্ছে কর্তব্যরত্ব চিকিৎসক ও নার্সদের।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ভর্তিকৃত রোগীরা লোডশেডিংয়ের সময় প্রচণ্ড গরমে বেড থেকে উঠে বারান্দায় ও বাহিরে বসে রয়েছে। বৃদ্ধ ও গুরুত্বর অসুস্থ রোগীর স্বজনরা রোগীর পাশে বসে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছে। 

অনেকে আবার গরম সহ্য করতে না পেরে ক্লিনিকে ও পাশের উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হচ্ছে। রোগী ও তাদের সাথে আসা স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, লোডশেডিং চলাকালীন সময় জেনারেটর চালানোর কথা বললে নানা অজুহাত দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীরা বলেন, একদিকে প্রচণ্ড গরম অপরদিকে ভয়াবহ লোডশেডিং। সব মিলিয়ে আমারা নাজেহাল অবস্থা রয়েছি। হাসপাতালে জেনারেটর থাকলেও বিদ্যুৎ চলে গেলে সেটাও চালু করা হয় না। সে কারণে বিদ্যুৎ চলে গেলে আমরা বারান্দায় ও বাহিরে বসে থাকি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা লোডশেডিংয়ের সময় জেনারেটর চালানো অনুরোধ করছি। 

এবিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সোবহান বলেন- হাসপাতালে জেনারেটরের তেলের জন্য কোন বরাদ্দ নেই। তারপরেও আমরা লোডশেডিংয়ে প্রচণ্ড গরমের সময় মাঝে মাঝে জেনারেটর চালু রাখি। এর আগে আমরা হাসপাতালের জেনারেটরটি চারবার মেরামত করেছি। 

জেনেরেটরটি পুরাতন হওয়ায় তেল খরচ অনেক বেড়ে গেছে। বিষয়টি আমি উপজেলা মিটিং এ উপস্থাপন করেছি। নতুন একটি জেনারেটরের ব্যবস্থা করলে অথবা তেলের ব্যবস্থা করতে পারলে হাসপাতালে স্বার্বক্ষণিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন- হাসপাতালের জেনারেটরের জন্য তেলের বরাদ্দ নেই সেটা আমারা জানি। আমাদেরও তেলের সংস্থান করার মতো ব্যবস্থা নেই। বিষয়টি দেখি কি করা যায়।

টিএইচ