চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় শিল্পনগরী দর্শনায় দেয়ালে দেয়ালে শিল্পকর্ম আঁকছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। স্বেচ্ছায় এতে অংশ নিয়েছেন তারা। যারা কাজটি করছেন তাদের নেই কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা। তাদের লক্ষ্য নান্দনিক এই দর্শনাকে রঙিন তুলিতে রাঙ্গিয়ে তোলা।
নান্দনিক দর্শনাকে সাজাতে ছাত্র আন্দোলনের সময় এসব দেয়ালে আন্দোলনের দাবি দাওয়া স্প্রে করে লিখে দেন আন্দোলনকারীরা। সেসব লেখা মুছে আবারও সেখানে নতুন দেয়ালচিত্র ও গ্রাফিতি আঁকছেন শিক্ষার্থীরা। একই কাজ করছে দর্শনার বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রসমাজ।
সোমবার (১২ আগস্ট) দর্শনা থানা ভবনের যে দেয়াল সেটি রাঙানোর কাজ করছেন শতাধীক শিক্ষার্থী। গত দুই দিন ধরে চলা দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতি অঙ্কনের এ কাজ করছেন বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যাদের বেশিরভাগই পূর্বে কখনও দেয়াল লিখনের কাজ করেনি। তাদের সহযোগিতা করছেন দর্শনার চিত্র শিল্পী সুমন হোসেন।
সকাল থেকে পাত্রে রং ভাগ করে দেয়া, দেয়াল ঘষে উপযোগী করা, প্রাথমিক অঙ্কন, তুলির আঁচড়সহ সব কাজ করছেন ছাত্রছাত্রীরা। শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় মনোযোগ দিয়ে সেগুলো করছেন। এদিকে শিক্ষার্থীদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে দর্শনার সুশীল সমাজের মানুষ। তারা কেউ রং তুলি আবার কেউ পানি নাস্তা নিয়ে পাশে থাকছে ছাত্রছাত্রীদের।
জীবন উৎসর্গ করা বীর শিক্ষার্থীদের প্রতিকৃতি, ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং দেশপ্রেমের বাণী ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলছেন রং-তুলির আঁচড়ে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ছবির মাধ্যমে তারা এমন কিছু মেসেজ দিতে চান যা পরবর্তী প্রজন্মকে উদ্দীপ্ত করবে। জেগে উঠবে নতুন বাংলাদেশ।
এতে অংশ নিয়ে সমন্বয়করা বলেন, সব শিক্ষার্থী যে যার মতো আন্দোলনে নেমেছেন রাষ্ট্র সংস্কারের। আমরা রং তুলির আঁচড়ে মানুষকে বার্তা দিচ্ছি নতুন বাংলাদেশের। বার্তা দিচ্ছি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার। বার্তা দিচ্ছি সমপ্রীতির বাংলাদেশের।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক, তানভির অনিক, আবিদ হাসান রিফাত, সাদমান সাদি সাকিব, সোহানুর রহমান, হাসিবুল হোসেন শান্ত সহ শতাধিক ছাত্রছাত্রী।
এসময় তারা দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু ও দর্শনা পৌর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী রফিক উদ্দিনের সঙ্গে তাদের কার্যালয়ে দুর্নীতি রোধে ও সরকারি সব সেবা নিশ্চিতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করে।
টিএইচ