খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের গবাছড়ি এলাকায় মাছ চাষ করে ভাগ্যবদল করেছে পান্টু চাকমা (৪৫)।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের পান্টু চাকমাকে একটি ক্রিক বাঁধ নির্মাণ করে দেয়। পরে দীঘিনালা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে মাছ চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে মাছচাষ শুরু করে বর্তমানে মাছচাষ করে তিনি স্বাবলম্বী।
মাছচাষ সম্পর্কে পান্টু চাকমা বলেন, আমি আগে ধানচাষ করতাম ধান চাষে লাভ কম হতো। অনেক সময় বন্যায় পাহাড়ি ঢলে ধান নষ্ট হয়ে যেত। আমি পরে আমার ৪০শতক ধানের জমিতে ছোট একটা বাঁধ দেই। সেখানে মাছ চাষ শুরু করি।
পরে মৎস্য অফিসের যোগাযোগ করার পর আমার ক্রিকটি দেখে আমার পুকুরে একটি ক্রিক বাঁধ দিয়ে দেয়। মৎস্য অফিস থেকে আমি প্রশিক্ষণ নিয়ে মৎস্য অফিসের পরামর্শ মতে মাছচাষ শুরু করি।
গত বছরের আমি প্রায় ১ লাখ টাকা মাছ বিক্রি করি এতে আমার প্রায় ৬০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। এখনো আমার পুকুরের ২/৩ লাখ টাকার মাছ আছে। মাছ চাষ করে এখন আমি স্বাবলম্বী।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অবর্না চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের পান্টু চাকমাকে একটি ক্রিক বাঁধ নির্মাণ করে দেয়া হয়। মাছ চাষের উপর পান্টু চাকমা প্রশিক্ষণ নিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে মৎস্য অফিসের পরামর্শ নিয়ে মাছচাষ শুরু করে।
এখন তিনি মাছচাষ করে স্বাবলম্বী। তার সফলতা দেখে অনেক যুককরা মাছ চাষে আগ্রহী হবে। প্রশিক্ষণ নিয়ে সঠিকভাবে মাছ চাষ করে এবং মাছে যত্ন করলে মাছ চাষের কোন লোকসান হয় না।
টিএইচ