সিলেট ও পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জনসহ ৮ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
সিলেটের জৈন্তাপুরে পিকআপ ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের দরবস্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি গ্রামের সন্তোষ পাত্রের মেয়ে মঙ্গলী পাত্র (৫০), নন্দ পাত্রের স্ত্রী সাবিতি পাত্র, সুচিতা পাত্রের শিশু মেয়ে বিজলী (৬ মাস), কৃষ্ণ পাত্রের স্ত্রী সুষ্মিতা পাত্র ও সুকেন্দু পাত্রের ছেলে ঋতু পাত্র।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের দরবস্ত এলাকায় সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে পিকআপ ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে দুইজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজনরা জানান, ওই পরিবারের সদস্যরা পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চিকনাগুল থেকে উপজেলার মোকামপুঞ্জি যাচ্ছিলেন ৷ পথিমধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলামসহ পুলিশ ফোর্স, তামাবিল হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম ও জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী।
এদিকে দুর্ঘটনার পর সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন স্থানীয়রা। পরে প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে স্থানীয় জনতা অবরোধ প্রত্যাহার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) : পিরোজপুর-পাড়েরহাট সড়কে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ৯ টার দিকে পিরোজপুর-পাড়েরহাট সড়কের মল্লিকবাড়ি বাস স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহতরা হলেন, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পূর্ব মাটিভাঙ্গা মোন্তাজিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা মাসুম বিল্লাহ এবং পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার আব্দুল মালেকের ছেলে হাসিব (২৬) ও পিরোজপুর সদর উপজেলার বাদুরা গ্রামের নুরু মিয়া (৬০)।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. তোতামিয়া জানান, সকাল ৯ টার দিকে হাসিব ইন্দুরকানী উপজেলার টগরা গ্রামের আরিফ (৩০) নামের এক যুবককে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে পিরোজপুর থেকে পাড়েরহাটের দিকে যাচ্ছিল। একই সময় চরখালি থেকে পিরোজপুরের দিকে যাচ্ছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ।
সে সময় রাস্তা পার হচ্ছিল সদর উপজেলার বাদুরা গ্রামের নুরু মিয়া (৬০)। নুরু মিয়াকে বাঁচাতে গিয়ে দুটি মোটরসাইকেলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় মাসুম বিল্লাহ এবং হাসিব। গুরুত্বর আহত নুরু মিয়াকে খুলনা মেডিকেলে প্রেরণের সময় তারও মৃত্যু হয়।
টিএইচ
