সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

দুই বছরেও কাজের মজুরী পায়নি কুষ্টিয়ার আনসাররা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি 

দুই বছরেও কাজের মজুরী পায়নি কুষ্টিয়ার আনসাররা

কুষ্টিয়ায় ভোটকেন্দ্রে সহযোগী আইন শৃংখলা বাহিনীর দায়িত্ব পালন করে দুই বছরেও কাজের মজুরী না পাওয়ার অভিযোগ তুলে চরম অসন্তোষ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আনসার সদস্যরা। তাদের দাবি ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ০৩ নভেম্বর পর্যন্ত ০৪দিন জেলার ৩৮টি ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত পিসি এপিসি নারী পুরুষসহ সর্বমোট ৬৪৬ আনসার সদস্য দায়িত্বপালন করেন। 

বিধি মোতাবেক এসব আনসার সদস্যদের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদেয় ভাতাদিসহ মোট বরাদ্দ দেয়া হয় ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৫৯০ টাকা। কিন্তু ইতোমধ্যে দুটি অর্থবছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত কাজের পাপ্য মজুরী পাইনি বলে তাদের অভিযোগ। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জেলা কমান্ড্যান্ট জানান, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রেরিত বরাদ্দপত্র সংশ্লিষ্ট অর্থবছর অতিক্রান্ত হওয়ায় এবং বিলম্বে বরাদ্দপত্র জেলা হিসাবরক্ষকের দপ্তরে আসায় সেই টাকা আর উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। তবে ওই টাকা নতুন করে বরাদ্দ চেয়ে একাধিকবার পত্র প্রেরন করা হয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা গ্রামের বাসিন্দা আনসার সদস্য (পিসি) বশিউর রহমানের অভিযোগ, কিছুই বলার নেই, দুই বছর আগে কাজ করেছি অথচ তার কোন ভাতাদি আজও পাইনি। 

দলনেতা হিসেবে আমি আমার দলের যে ১৭ জনকে নিয়োগ দিয়েছিলাম, তারা এখন আমাকে অবিশ্বাস করে, তাদের অভিযোগ আমি নাকি ওদের টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছি। এই ঘটনায় আমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে গেছে। তাছাড়া আমাদের অফিস থেকেও সঠিক করে কিছু বলতে পারছেন না যে কবে আমরা এই পাওনা টাকা পাবো।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ আবু আনছার জানান, ‘নির্বাচন কমিশন প্রতিবার নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর পূর্বেই চাহিদা পত্রানুযায়ী অর্থ বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে কর্মতৎপরতা শুরু করে। সেকারণে দুই বছর পূর্বে ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনি ডিউটি পালন করে টাকা পাবে না তা তো হওয়ার কথা নয়। আনসার সদস্যরা তাদের পাওনাদি পরিশোধের অনুরোধ করে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনে পত্র প্রেরণ করুক।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে কুষ্টিয়া জেলা কমান্ড্যান্ট মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দুই বছর পূর্বে ইউপি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন শেষে আনসার সদস্যরা মজুরী ভাতাদি এখনও পায়নি। এ বিষয়ে আমি নিজেও বিচলিত। ওরা তো সবাই গরীব মানুষ, অভাবী মানুষ, সামান্য এই কয়টাকা পেয়ে হয়ত সংসারে কোন কাজে লাগবে। 

সেজন্য প্রায়ই ওরা অফিসে এসে জানতে চায়। তাদের জানানো হয়েছে, টাকা বরাদ্দ চেয়ে পত্র প্রেরণ করেছি, আশা করি খুব শিগগির এটি নিরসন হবে। এছাড়া কিছু অসাধু মধ্যস্বত্ত্বভোগী আনসার সদস্যদের প্রাপ্য টাকায় ভাগ বসায় এমন অভিযোগ নিরসনের জন্য আমরা ইতোমধ্যে অনলাইন ডাটাবেজ একাউন্ট করে দিয়েছি। এখন থেকে আর কোনদিন আনসার সদস্যদের টাকায় কেউ ভাগ বসাতে পারবে না। 

টিএইচ