বরগুনার আমতলী পৌরসভা নির্বাচনে দুই মেয়র প্রাথীর সমর্ধকদের মধে্য ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ছয় জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ফরিদ ও নিজামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এতে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা। ঘটনা ঘটেছে গত রোববার সন্ধ্যায় আমতলী পৌরসভার বাঁশতলা এলাকায়।
জানাগেছে, আমতলী পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে গত রোববার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোন প্রতিকের মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানের সমর্থকরা ৯নং ওয়ার্ডে ঢুকে লিফলেট বিতরণের নামে ভোটারদের হুমকি দেয় এমন অভিযোগ অপর হ্যাঙ্গার প্রতিক মেয়র প্রার্থী নাজমুল আহসান খাঁনের সমর্থকদের। এ নিয়ে বাঁশতলা এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদশী হাসান, আরিফ গাজী ও মোশাররফ তালুকদার বলেন, মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানের সমর্থকরা এলাকায় প্রবেশ করে লিফলেট বিতরণের নামে ভোটারদের হুমকি দিয়ে। এ নিয়ে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাধারণ ভোটাররা শঙ্কিত।
মেয়র প্রাথী নাজমুল আহসান খাঁন বলেন, আমার সমর্থকরা বাড়ি বাড়ি ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাচ্ছিল। এমন সময় মতিয়ার রহমানের সমর্থকরা এলাকার ঢুকে ভোটারদের হুমকি দেয় এবং আমার সমর্থকদের উপর হামলা করে। এতে আমার তিন সমর্থক আহত হয়েছে। মেয়র প্রাথী মতিয়ার রহমান বলেন, শান্তিপুর্ণভাবে আমার সমর্থকরা এলাকায় ঢুকে ভোট চাচ্ছিল। ওই সময় তারা আমার সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা করেছে। এতে আমার তিন সমর্থক আহত হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেরীন আশ্রাফ বলেন, আহত একজনকে পটুয়াখালী পাঠানো হয়।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
টিএইচ