সামপ্রতিক সময়ে সড়ক দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রম জোরদার করার অংশ হিসেবে সড়ক বিভাগ, পিরোজপুরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে পিরোজপুর সড়ক বিভাগের আওতাধীন বেশ কিছু দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ১৮টি সতর্কীকরণ রিফ্লেক্টিং বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।
মহাসড়কে গতিসীমা বজায় রেখে গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত গতিসীমা সাইন বসানো হয়েছে। এছাড়াও মহাসড়কের সব অংশে রোডমার্কিংয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপিত স্পিডব্রেকার, রাম্বল স্ট্রিপ ও জেব্রা ক্রসিংসমূহ মার্কিং করা হয়েছে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় লাগানো হয়েছে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড।
রাতে বাকসমূহ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক রিফ্লেক্টিং শেভরন সাইন, রোড স্টাড ও গাইড পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। মহাসড়কে দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধির কারণ হিসেবে আনস্পেসিফাইড যানবাহন ও এসব বাহনের অদক্ষ চালককে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। একই মহাসড়কে বিভিন্ন গতির যানবাহন চলার ফলে দ্রুতগতিসম্পন্ন যানবাহন পরিচালনায় যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে এবং প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
সড়ক বিভাগ পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পিরোজপুর সড়ক বিভাগের আওতাধীন সব সড়কে যেখানে যে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি এবং সবসময় এগুলোর তদারকি করছি যাতে পিরোজপুর সড়ক বিভাগের আওতায় যেসব রাস্তা আছে সেসব রাস্তায় সব ধরনের দুর্ঘটনা থেকে সবাই রক্ষা পায়।
পাশাপাশি আমরা সব গাড়িচালকদের ও সাধারণ মানুষের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি, সবাইকে সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছি। আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম আগামী দিনে আরও বেগবান হবে ও এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এমতাবস্থায়, মহাসড়কে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গৃহীত কার্যক্রমসমূহ শতভাগ সুফল বয়ে আনবে না।
টিএইচ