দেবহাটায় সাথী ফসল হিসাবে আবাদ হচ্ছে সূর্য্যমুখী ফুল। অন্য ফসলের সঙ্গে একই জমিতে সাথী ফসল সূর্য্যমুখী চাষে ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটিয়ে লাভের আশা দেখছেন কৃষক। এবছর ভাল ফলন পেলে আগামী বছর আরো বেশি জমিতে এ চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন অনেক চাষি।
উপজেলার কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোস্তফা মোস্তাক আহম্মেদ জানিয়েছেন, এবছর দেবহাটায় সাথী ফসল হিসাবে বেশ কিছু জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। আবাদ অনুযায়ী ভাল ফলন পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে। সূর্যমুখী তেল অনেক ভালো হওয়ায় এটি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
তাছাড়া তেলে দাম অনেক বেশি হওয়ায় লাভের পরিমান বেশি। কিন্তু বীজের স্বল্পতার জন্য কৃষক এটার উৎপাদনমুখী হতে চাই না। আর সূর্যমুখী চাষে কিছু প্রতিবন্ধকতাও আছে। বিশেষ করে ঝড় হলে বেশি উচ্চতার গাছ পড়ে যায়। পাখিদেরও একটা উপদ্রব আছে। আলাদা পরিচর্যার বিষয় আছে। সব জায়গায় সূর্যমুখী ভাঙানোর ঘানি নাই।
সরিষার ঘানিতে সূর্যমুখী ভাঙানো হয়। সূর্যমুখী চাষ করে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি সংসারের তেলের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। তবে বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে পারলে এর চাহিদা আরো বাড়বে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।
সূর্যমুখী চাষি মোহাম্মাদ আলী বলেন, অল্প খরচে এটি চাষ করা যায়। এবছর তিনি পরীক্ষামূলক ১ বিঘা জমিতে অন্য ফসলের সঙ্গে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। এতে একই জমিতে ২ রকম সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে যে পরিমানে তেলের দাম বাড়ছে, তাতে তেলের চাহিদা মেটাতে সূর্য্যমুখী বিশেষ ভূমিকা রাখবে। ফলন ভাল হলে আগামীতে বাণিজ্যিকভাবে এ চাষ করবেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফ মোহাম্মদ তিতুমীর জানান, উপজেলায় খুব বেশি চাষের আওতায় না আসলেও অনেক চাষি এ বছর সূর্যমুখী চাষ করেছেন। তবে আমাদের এ এলাকায় আলাদাভাবে খুব কম সূর্যমুখী চাষ হয়। উপজেলা থেকে অনেক কৃষককে বীজ ও প্রয়োজনীয় সার প্রদান করা হয়েছে। এবছর চাষে কৃষকের ভাল সাড়া পাওয়া গেছে। আগামীতে এ চাষের পরিমাণ বাড়তে পারে বলে তিনি আশা করেছেন।
টিএইচ