নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ বলেছেন, কেউ অতিরিক্ত মূল্য আদায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দোকানে অবশ্যই মূল্য তালিকা ঝুলাতে হবে।
আপনি অতিরিক্ত দাম নিয়ে ভাবছেন লাভ হচ্ছে তা নয়, আপনি একটি পন্য বিক্রি করে লাভ করছেন কিন্তু আপনাকেও পরিবারের জন্য বাকি সকল পন্য বেশী দামে কিনতে হচ্ছে। তাই অতিমুনাফার চিন্তা বাদ দিন। গত বৃহস্পতিবার আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদের হলরুমে আয়োজিত এক সভায় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমি খাদ্য অফিসারকে একস্ট্রা ডিউটির অনুরোধ করবো। প্রতিদিন কোন পণ্যের কী মূল্য সেটা আপনারা আমাকে জানাবেন। যে পন্যগুলো মানুষ প্রতিনিয়ত কিনছেন সেগুলোর একটি চার্ট করুন। আমি দেখবে এগুলো বেশি বাড়ছে কীনা। সেখানে রমজানের আগের এবং এখনকার দাম থাকবে।
যদি কোথায় দাম বেশি উঠানামা করে আমরা গিয়ে আড়ৎ এ দেখবো, সেখানে পাকা রশিদও আমরা চেক করবো। দুধের দাম ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কীভাবে হল। ভুসির দাম পরিবহন খরচ কোনটাই তো বাড়েনি।
যে লোক রমজান আসায় ৭০ টাকার দুধ ১০০ টাকা করে দিল তার কী রোজা হবে বলেন। ২০/৩০ টাকা বেশি লাভ করতে পারে তবে দ্বিগুণ দামে কীভাবে বিক্রি করে তারা। তিনি আরো বলেন, আমাদের রেশিও করা আছে। এক কেজি মাংসের সঙ্গে আড়াইশ গ্রাম চর্বি ও হাড় দেয়া হয়। তারপরেও তো চার ভাগের এক ভাগ হয়ে যায়।
এভাবে মানুষকে দিবেন না। এই সময় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুজাহেদুর রহমান হেলো সরকার, আড়াইহাজার পৌর মেয়র আলহাজ্ব সুন্দর আলী, আড়াইহাজার থানা প্রেস ক্লাব সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, পৌর কাউন্সিলর জাকির হোসেন প্রমুখ। মত বিনিময় সভায় আড়াইহাজার উপজেলা বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
টিএইচ