সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

দোহারে হাসপাতালে জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

দোহার প্রতিনিধি

দোহারে হাসপাতালে জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

প্রধান সমস্যা জনবল সংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে দেখাতে হচ্ছে ডাক্তার। 

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, রোগীদের লম্বা লাইন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে ডাক্তার দেখাতে। রোগীদের এতবেশি চাপ যেন পা ফেলার জো নেই। আউটডোর, ইমার্জেন্সি, প্যাথলোজি কোথাও ফাঁকা নেই। পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকি নিয়ে দিচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। 

বর্তমানে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৭টি বেড রয়েছে। ফ্লোরে, বারান্দায়, মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। এ ছাড়া আরও জানা যায়, ৫০ শয্যা হাসপাতালে রোগীর চাপে ৭৯ জন রোগীকে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ জনের খাবারের বরাদ্দ থাকায় বাকি ২৯ জন পাচ্ছে না খাবার। 

হাসপাতালটিতে ৩০টি পোস্টে স্টাফ থাকার কথা থাকলেও। ডেন্টাল বিভাগসহ ৮টি পোস্টের নেই মেডিকেল অফিসার। ১৮ জন নার্স থাকার কথা থাকলেও সেখানে নার্স রয়েছে ১০ জন। এই আটটি শূন্য পদের মেডিকেল অফিসার ও ৮ জন নার্স সংকট নিয়েই সেবা দিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালটি। 

এ ছাড়া আউটডোর, ইমার্জেন্সি ও প্যাথলোজি বিভাগে রোগী ও রোগীদের অভিভাবকদের প্রচণ্ড ভিড় থাকায় সেখানে অহরহ খোয়া যাচ্ছে রোগী ও রোগীর অভিভাবকদের স্বর্ণালংকার। গত সপ্তাহে একদিনে ছয় নারীর মোট সাড়ে চার ভরি স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই নিরাপত্তাজনিত কারণে সিভিল ও পোশাকে পুলিশি পহরায় দিতে হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন বলেন, রোগীদের প্রচণ্ড চাপ নিয়ে জনবল সংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। 

গত আগস্ট মাসে আমাদের আউটডোরে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি ১৪ হাজার ৮১৭ জন, ইমার্জেন্সিতে ২ হাজার ৮০৩ জন এবং ভর্তি রোগী চিকিৎসা নিয়েছে ৮৫১ জন রোগী। গত মাসে আমাদের এখানে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে ৪১টি, সিজার করা হয়েছে ১০টি। মেজর সার্জারি হয়েছে ৪২টি এবং মাইনর সার্জারি করা হয়েছে ৩৪৩টি।

দোহার-নবাবগঞ্জের সাংসদ সালমাল ফজলুর রহমান এমপির প্রচেষ্টায় দ্রুত ৫০ শয্যার হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় রূপান্তর করা হবে। এ সক্রান্ত সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। আগামী মাসেই কাজ শুরু হবে বলে আমি আশা করি।

টিএইচ