১৯৭১ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে ডি ৫ কাটা খালের উপর ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মিত হয়েছিল দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পার্শে। কাটা নদীর ওপরের সেতুটির মাঝখানে ভেঙে গর্ত হয়ে গেছে। ফলে ঝুঁকি নিয়েই ওই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে কয়েক গ্রামের মানুষ ও যানবাহন।
সেতুটির মাঝখানে গর্তের উপর দিয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও মালবাহী ট্রাক, বাস, স্যালোইঞ্জিন চালিত ট্রলি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। যানবাহন চলাচলের সময় যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ভেঙে গিয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেতুটি দিয়ে খলিশাকুন্ডি ইউনিয়নের ১০নং ওয়ার্ডের মানুষসহ প্রায় ১৫ গ্রামের ২০ সহস্রাধিক মানুষ চলাচল করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর মাঝ বরাবর বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দুর্ঘটনা এড়াতে ওই গর্তের উপর দিয়ে ট্রাক চলাচলের সময় কাঠ দিয়ে ঢেকে তার উপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন সেতুটি ভাঙা অবস্থায় থাকলেও সেটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায়ই ঘটে ছোট-খাট দুর্ঘটনা। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও শুধু এক পাশে দেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড।
স্যালোইঞ্জিন চালিত ট্রলিচালক জহুরুল ইসলাম বলেন, সেতুটির উপর দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে আমাদের যানবাহন চালাতে হচ্ছে। এক প্রকার বাধ্য হয়েই আমরা এ সেতুটি ব্যবহার করছি। সেতু ব্যবহার না করলে আমাদের কয়েক কিলোমিটার রাস্তা বেশি ঘুরতে হয়। সেতুটি খুব শিগগিরই মেরামত করা প্রয়াজন।
স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল হোসেন, কামরুল ইসলাম, আদালত মুন্সি জানান, সেতুটির বর্তমান অবস্থা এমন যানবাহন চলাচল মুশকিল। সেতুর মাঝের গর্তটি বেশ বড় হয়ে গেছে। কোনোরকম অসাবধানতায় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
খলিশাকুন্ডি ইউপি চেয়ারম্যান জুলমত হোসেন বলেন, ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ২০ গ্রামের মানুষের জমিতে উৎপাদিত ফসল সবজি বোঝাই গাড়ি নিয়ে সেতুটির উপর দিয়ে মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসতে হয় কুষ্টিয়া জেলার সবচেয়ে বড় কাঁচা মালের আড়ৎ খলিশাকুন্ডি কাঁচা বাজারে।
ইতোপূর্বে আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বর্তমান এমপি রেজাউল হক চৌধুরীকেও সেতুটির বিষয়ে অবগত করেছি তিনি জানিয়েছেন সেতুটির জন্য এলজিইডি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ চলছে খুব শিগগিরই এখানে একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। তবে পথচারীদের দাবি দ্রুত নতুন সেতু না হলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটতে পারে।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশিদুর রহমান বলেন, ওই সেতুর বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আমরা সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বরাদ্দ পেলে ওখানে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে।
টিএইচ