যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমতে থাকলেও মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের পারুরিয়া বাজার, বাঘুটিয়া বাজার, কাশিদারামপুর, ব্রামদি, এলাশায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহে শতাধিক বসতবাড়ী, দুই বাজারে ২৫টি দোকানসহ ৬০ হেক্টর আবাদী জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। নদী পাড়ের মানুষগুলো দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে।
নদীর পাড়ে লোশজন তাদের ঘরবাড়ি বসতভিটা, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, বাজার রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। গত ২৩ আগস্ট বাঘুটিয়া, পারুরিয়া চরে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ২২ আগস্ট ভোরে হটাৎ করেই বাঘুটিয়া, পারুরিয়া এলাশায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে কোন কিছু সরিয়ে নেয়ার আগেই মাত্র ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ১২টি দোকান, ৩০ ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে, পাশাপাশী ৬০ হেক্টর পরিমান আবাদী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
দুদিন আগেও যাদের ঘড়বাড়ি, দোকাপাটসহ সবকিছু ছিল এখন তাদের মাথা গোজার ঠাঁই নাই। যমুনা নদীর চরে অন্যের জমিতে ঘরের চাল কাউড়া দিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
ভাঙনের শিকার ঠান্ডু সরদার, আলীম সরদার, বাবু সেক, আলমগীর, সোনাই সেক জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর ভাঙন ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে। এতে প্রায় শতাদিক বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে গেছে।
পারুরিয়া বাজারের দোকান মালিক জুলহাস, শহিদ আলী, মুইলাম, রেজাউল, ধনি দোকান ঘর ছিল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরকালীকাপুর শুকুরিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বাঘুটিয়া আলিম মদ্রাসা ৪ তলার ১ টি ভবন ও ২য় তলা ১ টি ভবন ভাঙনে হুমকির মুখে।
ভাঙনের শিকার বাঘুটিয়া বাজারের আয়ুব, আমিনুর মোল্যা, আবু তাহের বাদুরী দোকান ঘর ছিল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ৫ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে।
বাঘুটিয়া আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাচ্চু সেক জানান, বাঘুটিয়া ও পারুরিয়া এলাশায় শতাধিক বাড়িঘর, আবাদি জমি ও ২০/২৫ দোকান যমুনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত এখানে বালি ভরে জিও ব্যাগ ড্যাম্পিং প্রয়োজন। আমি ঘরবাড়ি বসতভিটা, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, বাজার রক্ষায় মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।
এবিষয়ে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার মোবাইল ফোনে জানান, যমুনা নদী ভাঙনের বিষয়টি দেখেছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত মো. মামুনুর রশিদ জানান, আমি ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসককে অবগত করে ভাঙন এলাশা পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদক দেয়া হবে।
টিএইচ