সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় বিগত বছরে সায়রাতভূক্ত নয় কিন্তু প্রস্তাবিত এমন কিছু সংখ্যক জলমহাল প্রতিবছর আবেদনের প্রেক্ষিতে এক বছরের জন্য খাসকালেকশনের মাধ্যমে নামেমাত্র রাজস্ব আদায় হতো। জটিল পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য দুই চারটি জলাশয় শুধুমাত্র আবেদনের প্রেক্ষিতে ইজারা না দিয়ে দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে এবছর ১১টি জলাশয় ২০ একরের নিচে খাসকালেকশনে ইজারা দেয়ায় ২৩ গুণ বেড়েছে সরকারি রাজস্ব। গতবছরে ওই ১১টি জলাশয় থেকে খাসকালেকশনে রাজস্ব আদায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার স্থলে এবছর এক বছরের মেয়াদে দরপত্রের মাধ্যম অংশগ্রহণকারী দর দাতাদের সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৩৬ লাখ ১৪ হাজার ২০০ টাকা।
রাজস্ব বৃদ্ধির স্বার্থে খাসকালেকশনে জলমহাল ইজারায় দরপত্র আহ্বান করায় প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে জলাশয়ের সঠিক মূল্য উঠে এসেছে। ফলে ব্যাপকহারে বেড়েছে সরকারি রাজস্ব। গতবছরে আবেদনের প্রেক্ষিতে খাসকালেকশনের মাধ্যমে কুড়ি বিলের রাজস্ব আদায় ১৫ হাজার টাকার স্থলে এবছর খাসকালেকশনে দরপত্রের মাধ্যমে সর্বোচ্চ মূল্য ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা, নয়াবিল ২০ হাজার টাকার স্থলে দরপত্রের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা, ছাগডরা বিলে ১৮ হাজার টাকার স্থলে ৮ লাখ ১ হাজার টাকা, ঢর গাঙ (১) বিলে ১৯ হাজার টাকার স্থলে ৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, ঢর গাঙ (২) বিলে ১৫ হাজার টাকার স্থলে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ডহর নদী (২) বিলে ২০ হাজার টাকার স্থলে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, মিছার বিলে ১৪ হাজার টাকার স্থলে ১ লাখ ১১ হাজার টাকা, ঘোড়ামারার দাইড় বিলে ১৫ হাজার টাকার স্থলে ২ লাখ ৪০ হাজার ২০০ শত টাকা, লম্বাকুড়ির বিলে ১১ হাজার টাকার স্থলে ৭১ হাজার টাকা।
ধর্মপাশা ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, জলমহাল ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনয়ন ও রাজস্ব বৃদ্ধির স্বার্থে আবেদনের প্রেক্ষিতে খাসকালেকশনে না দিয়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সায়রাতভূক্ত নয় কিন্তু প্রস্তাবিত এমন জলমহালগুলো দরপত্রের মাধ্যমে খাসকালেকশনে দেয়া হয়েছে। এতে গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৩ গুণ রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
টিএইচ