বগুড়ার ধুনটে ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার নিমগাছি, কালের পাড়া ও চিকাশী ইউনিয়নের প্রায় ১শ পরিবার।
এছাড়া ঝড় ও বৃষ্টিতে আম, লিচু, ভুট্টা, গম, ধানসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের স্থায়িত্ব কম হলেও কোথাও কোথাও উড়িয়ে নিয়ে গেছে স্থাপনা। বৃষ্টির পানিতে নুয়ে পড়েছে কৃষকের ফসল।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টায় মোখার তাণ্ডব শুরু হয়। তাণ্ডবে নিমগাছী ইউনিয়নের ধামাচামা গ্রামের এক বসতবাড়িতে ঘরের উপর কাছ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পার্শ্ববর্তী চিকাশী ইউনিয়নেও দেখা যায় ঝড়ের তাণ্ডব দৃশ্য। কোন ঘরের চাল নেই, আবার কোন নেই কোন অস্তিত্ব। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের ঝড়ে ভেঙে পড়েছে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র।
চিকাশী টেনিক্যাল এ্যান্ড বিএম ইন্সটিটিউট কান্তনগর কেন্দ্র হিসেবে ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহূত হয়। এই কেন্দ্রে মোট ৮৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে ৬৩ জন ছাত্র ও ২১ জন ছাত্রী।
ঝড়ের পর তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন। এসময় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন তিনি। তিনি বলেন, যেহেতু চাকাশী ইন্সটিটিউটটি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। ঝড়ের তাণ্ডবে যেটুকু ক্ষতি হয়েছে তাতে পরীক্ষার্থীদের তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
চিকাশী টেনিক্যাল এ্যান্ড বিএম ইন্সটিটিউটের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সফি জানান, ঝড়ের তাণ্ডবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতিরিক্ত ঘর থাকার কারণে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কোন সমস্যা হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ঝড়ের কবলে পড়ে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছি।
শনিবার বিকেল ৫টা ২৬ মিনিটে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানে আলম জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে পরীক্ষা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ বিষয়ে আমি অবগত নই।
টিএইচ