বগুড়ার ধুনটে কালেরপাড়া ইউনিয়নের ইসলামপুর (ঈশ্বরঘাট) দাখিল মাদ্রাসা থেকে হেউটনগর খাজার মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার পাকা সড়কের বেহাল দশা। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং (পিচ) উঠে গিয়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়েছে ইউনিয়নের হাজারও মানুষ।
কালেরপাড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের আব্দুল মান্নান ও সাইফুল ইসলাম বলেন, সড়কটি বেহাল দশার কারণে ৫ মিনিটের পথ যেতে যেমন সময় লাগছে ১৫ মিনিট। তেমনি যানবাহনে ভাড়াও দিতে হচ্ছে বেশি।
হেউটনগর গ্রামের ইজিবাইক চালক জালাল উদ্দিন বলেন, রাস্তার বেহাল দশার কারণে গাড়ি চালিয়ে শান্তি পাই না। সময় বেশি লাগে। যাত্রাপথে রিকসা-ভ্যানের যন্ত্রাংশ ভেঙে দুর্ঘটনায় পড়তে হয়। প্রায়ই ইজিবাইক নষ্ট হওয়ায় অনেক টাকা ব্যয় হয়। মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে খুব দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা প্রয়োজন।
জানা যায়, ওই সড়কের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে ১ কিলোমিটার চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই সড়কটিতে কালেরপাড়া, নিমগাছী ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের শতাধিক মানুষ চলাচল করে।
ইজিবাইক ও ভ্যানযোগে এক কিলোমিটার সড়ক পারি দিতে অনেক সময় লেগে যায়। প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় থেকে রাস্তাটির এই বেহাল দশা হলেও সড়ক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা রাস্তাটি মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে স্থানীয়রা জানান।
রাস্তার বেহাল দশার কারণে বেশি বিপাকে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কৃষিজমি থেকে উৎপাদিত ফসল পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে করে তারা যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি সময়ও ব্যয় হচ্ছে অনেকটা।
কালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন শিপন বলেন, বর্তমানে রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে মানুষের চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। বারবার উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন মিটিংয়ে আলোচনা করেও কোন সমাধান হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল সাজ রিজন বলেন, ইসলামপুর (ঈশ্বরঘাট) থেকে হেউটনগর সড়কটির বেহাল অবস্থা বিবেচনা করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে টেন্ডার হবে বলে আশা করছি।
টিএইচ