শেরপুরের নকলায় কয়েক যুগ পরে অবৈধ দখল থেকে সরকারি রাস্তা উদ্ধার করায় দুইটি গ্রামের শতাধিক পরিবারের লোকজন যাতায়াতের পথ পেলেন। গত রোববার উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়নের বানেশ্বরদী মৌজার পোলাদেশী পশ্চিমপাড়া এলাকায় এই উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।
গত রোববার বানেশ্বরদী মৌজার পোলাদেশী পশ্চিমপাড়া এলাকার ১০২৫নং দাগের সি.এস এবং আর.ও.আরভুক্ত সরকারের নামে রেকডিয় রাস্তাটির দুই পাশের চারজন অবৈধ দখলদারসহ দুই গ্রামের অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগীর উপস্থিতিতে জমির সিট (ম্যাপ) মোতাবেক ১০২৫নং দাগের সম্পূর্ণ জমি মেপে রাস্তা চিহূত করে লাল পতাকার খুটি দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়।
এসময় উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার রনি কুমার ভৌমিক, উপসহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) হযরত আলী, সরদার আমিন (সার্ভেয়ার) রহুল আমিন, নকলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা ও ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
দখলে রাখা জমির মালিক ইয়াকুব আলী বলেন, আমরা বেশ আগে এখানে একটি রাস্তা দেখেছিলাম কিন্তু বাবা ও চাচারা রাস্তাটি কেন কেটে ফেলেছিলো তা জানা নেই। এই রাস্তাটি সরকারের সি.এস এবং আর.ও.আরভূক্ত ছিলো তা জানতাম না। এখন আমরা জেনেছি, তাই এই সরকারি রাস্তার জমি ছেড়ে দিতে আমাদের কোন আপত্তি নেই।
এদিক দিয়ে পুনরায় রাস্তা হলে পোলাদেশী পশ্চিমপাড়া এলাকার ও বানেশ্বরদী খন্দকারপাড়া এলাকার লোকজনের অবর্নণীয় কষ্ট লাঘব হবে ও বেশ উপকারে আসবে।
সরকারি জমি দখলে রাখা অন্য আরো দুইজন আলতাফ আলী ও খুশু মিয়া জানান, আগে বানেশ্বরদী খন্দকারপাড়া (ভূরদী) এলাকার কোন বাড়িতে যেতে হলে পায়ে হেঁটে বা বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল ছাড়া কোন উপায় ছিলো না।
ফলে তাদের উৎপাদিক কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী হাট-বাজারে নিয়ে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারতেন না। এই রাস্তাটি হলে ওই এলাকার লোকজনসহ আমরা সবাই রিক্সাসহ ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে যাতায়াত করতে পারব।
উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার রনি কুমার ভৌমিক ও উপসহকারী ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা (নায়েব) হযরত আলী জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিনের নির্দেশক্রমে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাবুল আরিফের পরামর্শে তারা গত সপ্তাহে সরেজমিনে গিয়ে রাস্তার অবস্থান জেনেছেন। তারা বলেন, তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে এলাকাবাসী সার্বিক সহযোগিতা করায় সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন জানান, এলাকাবাসীর চাহিদা ও আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই রাস্তাটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে জনস্বার্থে পুনরায় নির্মাণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টিএইচ