প্রধানমন্ত্রীর অধিদপ্তরের নির্দেশে মন্ত্রী পরিষদ নবীগঞ্জ উপজেলার ইমাম ও বাওয়ানির চা বাগানের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ভাতাধিসহ যাবতীয় দাবি পাওনা পরিশোধে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে চা শ্রমিকদের জানিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। ইমাম চা বাগানের ডাকবাংলোয় আয়োজিত মতবিনিময় সভা শেষে চা শ্রমিকরা তাদের এক মাসের ধর্মঘট, মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
গত ১ মাস ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের চা শ্রমিকরা। চলমান তলব, রেশন, বকেয়া মজুরি, বোনাস, উৎসব ভাতা, ভবিষ্যৎ তহবিলের বকেয়া টাকা, চিকিৎসা, স্থায়ী বাসস্থান নিশ্চিত করণের দাবিতে দফায় দফায় নানা কর্মসূচি পালন করে এলেও কার্যত কোনো সমাধান। শনিবার (১৯ আগস্ট) মন্ত্রী পরিষদ সচিবের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আবারো কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে।
হবিগঞ্জ জেলার হবিগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নে অবস্থিত ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের পাওনা বেতন ও অন্য ভাতাদি পরিশোধের লক্ষ্যে আগামী ২২ আগস্ট সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহ, বাংলাদেশ চা বোর্ড, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ ও মালিকপক্ষের সাথে বৈঠকে বসছে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ।
ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের শ্রমিকরা দীর্ঘদিন বেতন ও অন্য ভাতাদি পাচ্ছেন না। দীর্ঘ ৬ সপ্তাহ সাপ্তাহ তলব ও রেশন না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তারা।
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক দেবি চন্দ বলেন, ২২ আগস্ট দুপুরে সচিবালয়ে ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের সংকট সমাধানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে মালিকপক্ষকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেই বৈঠক থেকে সমাধানে যথাযাথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এদিকে সচিবালয়ে বৈঠকের উদ্যোগ গ্রহণ করায় ২১ আগস্ট চা শ্রমিকদের কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরিয়ার বলেন, আমরা আশাবাদী মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর অধিদপ্ত স্থায়ীভাবে সমাধান করবেন। দুটি চা বাগানের শ্রমিকদের পক্ষে পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক দেবি চন্দ্র তিনি সব দাবি-দাওয়া তুলে ধরবেন।
টিএইচ