নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার এবং ডাকাতির মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) বিকালে নরসিংদী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৫ মার্চ রাতে মামলার বাদী ও ট্রাকড্রাইভার মো. শাহীদ মিয়া, হেলপার সজল মিয়া সিটি গ্রুপ রূপসী, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ থেকে ৭৫ ড্রাম সয়াবিন তেল ট্রাকে লোড করে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জের উদ্দেশে রওনা করেন।
একই তারিখে রাত অনুমান ১০টার দিকে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ঘাসিরদিয়া পুকুরপার এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওপর পৌঁছা মাত্র পেছন দিক থেকে একটি প্রাইভেটকার সয়াবিন তেলভর্তি ট্রাকটিকে ওভারটেক করে ট্রাকড্রাইভারকে সিগন্যাল দিয়ে গাড়িটি থামায় এবং নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে ট্রাকটিকে আটক করে।
পরে প্রাইভেটকার হতে ৭-৮ জন নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে ট্রাকে অবৈধ মালামাল আছে বলে ডাকাত দল ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারকে ট্রাক থেকে নামিয়ে দুই হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে প্রাইভেটকারে তুলে তেলভর্তি ট্রাকটি নিয়ে যায়। পরে মাধবদী থানাধীন ডাঙ্গা রোডের নির্মাণাধীন একটি ব্রিকফিল্ডের সামনে হ্যান্ডকাফ খুলে দিয়ে পেছন দিক থেকে চোখ বেঁধে ড্রাইভার ও হেলপারকে ফেলে রেখে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত ২০ মার্চ শিবপুর থানায় ট্রাকড্রাইভার শহিদ মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তার নির্দেশনায় নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার ইনচার্জ খোকন চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কবির উদ্দিন ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত ২৪ মার্চ নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাত ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে এবং লুণ্ঠিত তেল ও বিক্রির নগদ অর্থ এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহূত একটি পিকআপভ্যান জব্দ করে।
ধৃত ডাকাতরা হচ্ছে নারায়নগঞ্জের নাদিম হোসেন আনিছ, তোহা মীর শাওন, মো. মামুন, নরসিংদীর মো. অন্তর, আল আমিন, হবিগঞ্জের সোহেল মিয়া ও ঈশ্বরগঞ্জের মো. ইলিয়াছ। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
টিএইচ