শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post
প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা

নরসুন্দায় মেয়াদ শেষ হলেও হয়নি সেতু

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

নরসুন্দায় মেয়াদ শেষ হলেও হয়নি সেতু

কিশোরগঞ্জে সোয়া তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণকাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। কিন্তু কাজ শেষ হয়েছে মাত্র দেড় শতাংশ। কাজের অগ্রগতি না থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারের গাফিলতিতে এ অবস্থা দাবি এলজিইডির। 

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের রঘুখালি এলাকায় মহিনন্দ ও বৌলাই ইউনিয়নের সংযোগ এ সেতুটি দিয়ে সদর উপজেলার মহিনন্দ ও বৌলাই ইউনিয়ন এবং করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গলসহ তিনটি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষের স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণসহ জেলা  শহরে যোগাযোগ করতে ব্যবহার করত সেতুটি।

সেটুটি সংস্কার করে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ৪০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় তিন কোটি টাকা। কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এইচটিবিএল সার্চের জেবেকা ও সাব-ঠিকাদার হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয় কিশোরগঞ্জের মেসার্স এস আলম। সোয়া তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১৭ মার্চ। সেতুটির নির্মাণকাজের মেয়াদ শেষ হয় ২০২২ সালের ২৩ জুন। সেতু নির্মাণকাজের মেয়াদ প্রায় দুই বছর আগে শেষ হয়েছে। কিন্তু সেতু নির্মাণকাজ শুরুই হয়নি।

সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর দুই পাশে ২টি গার্ডার নির্মাণ করে ৩ বছর ধরে লাপাত্তা সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস আলম।

স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল জানান, ঠিকাদার প্রথম দিকে পুরাতন সেতুটি ভেঙে দুটি গার্ডার নির্মাণ করে। এরপর তাদের আর দেখা মেলেনি। সেতুর কাজও হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে পড়ে আছে। অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন বলেন, একজন মানুষ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অনেক সময় রোগী বাঁচানোই দায় হয়ে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির বলেন, সেতু নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন বিলম্বিত হওয়ায় জনগণ এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মানুষ চলাচল করতে পারছে না এবং পণ্য পরিবহন করতে কয়েক কিলোমিটার পথ ঘুরে শহরে যেতে হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন, সেতু নির্মাণকাজ না করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল করে প্রকল্প পরিচালকের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুতই নতুন দরপত্র আহ্বান করা হবে।

টিএইচ