শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

নাটোরে যত্র-তত্র ময়লা আবর্জনা থেকে পৌরবাসীর স্বস্তি

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে যত্র-তত্র ময়লা আবর্জনা থেকে পৌরবাসীর স্বস্তি

নাটোর পৌরবাসীর বরাবরের অভিযোগ ছিল পৌরসভার রাস্তার উপরে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নিয়ে। যার কারণে বারবার পৌরসভাকে তাগাদা বা অভিযোগ দিয়েও কাজের কাজ কিছুই হতোনা। 

উপরন্তু পৌরসভার ঝাড়ুদারদের ময়লা পরিষ্কার কাজে অবহেলার ছাপ ছিল স্পষ্ট। তাদের অনুরোধ করলেও কথা শুনতো না। নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ করতো। যাতে করে দীর্ঘদিনের জমে থাকা আবর্জনায় মশামাছি বৃদ্ধিতে যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ ছিল নাটোর পৌরবাসী। গত ৫ আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের পর ছাত্রছাত্রীরা নিজ উদ্যোগে পৌরসভার অলিগলি রাস্তার ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করে। 

এ ময়লা আবর্জনা থেকে নাটোর পৌরবাসীকে স্বস্তি দিতে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) মাদ্রাসা মোড় এলাকায় স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু করে নাটোর পৌরসভা। সঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ব্যবস্থাও হাতে নেয়া হয়। এ অভিযানের উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও নাটোর পৌরসভার প্রশাসক মাছুদুর রহমান। 

নাটোর পৌরসভার মাদ্রাসা মোড় এলাকার বাসিন্দা সাইদুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসা মোড় এলাকার যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকে। এই এলাকায় হোটেল ও বাসাবাড়িসহ অন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বেশি হওয়ায় আবর্জনা বেশি হয়। অনেকদিন পর নাটোর পৌরসভার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্যোগকে স্বাগত জানান তারা। সেই সঙ্গে এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান বছরব্যাপী চলমান থাকবে বলে আশা করেন।

নাটোর পৌরসভার ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার প্রশাসক মাছুদুর রহমান বলেন পৌরসভার ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করলে মশা মাছি জন্মাবে না। ফলে রোগ ছড়াবে কম। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্নি রোগ থেকে পৌরবাসী রক্ষা পাবে। 

পৌরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিকীভাবে শুরু হওয়া নাটোর পৌরসভার এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. রওশন আলী, নাটোর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হক এবং বাংলাদেশ রোভার রাজশাহী বিভাগের সহযোজিত সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক।

টিএইচ