শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

নাটোরে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

নাটোরে এক স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি তামিমকে রাজশাহী থেকে আটক করেছে র্যাব। ধর্ষণ ঘটনার পর থেকে পালিয়ে থাকার পর তথ্য প্রযুক্তি ও বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত শনিবার রাতে রাজশাহী মাহানগরের কাশীয়াডাঙ্গা থানা এলাকার কাঁঠালবাড়ীয়া এলাকা থেকে তামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মো. তামিম (১৯) নাটোর সদর উপজেলার চাঁনপুর পাবনাপাড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে।

র্যাব-৫, সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তামিমের পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে তামিম।

পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাপস ইমোতে কথাবার্তা হতো তাদের মধ্যে। ছাত্রীর মনে বিশ্বাস জাগিয়ে তোলে তামিম। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রীকে নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া চাঁনপুর গ্রামে নিয়ে আসে। এদিন রাতে ওই এলাকার একটি বিলের মধ্যে কলাবাগানে নিয়ে তামিমসহ তার সহযোগী পীরগঞ্জ মাটিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. আব্দুল মজিদ (২৬), চাঁনপুর পাবনা পাড়া গ্রামের সোনাউল্যাহর ছেলে সিরাজুল ইসলামসহ (৩০) অজ্ঞাত আরো দুইজন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

পরে আব্দুল মজিদ ভোররাতে ভিকটিমকে অজ্ঞাত একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে রাজশাহীগামী বাসে উঠিয়ে দেয়ার জন্য বনবেল ঘড়িয়া বাইপাস মোড়ে নিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা ভিকটিমের অস্বাভাবিক দেখে সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় তামিম, আব্দুল মজিদ ও সিরাজুল ইসলামের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই জনের বিরুদ্ধে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলা করেন। ওই মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামি আব্দুল মজিদ ও সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

র্যাব কর্মকর্তা আরো জানান, ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যসহ ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করলে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মামলার প্রধান মো. তামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি ওই ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার তামিমকে নাটোর সদর থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।

টিএইচ