ময়মনসিংহের নান্দাইলে আমিনুল ইসলাম নামে এক (২২) যুবককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে কুপানোর অভিযোগ উঠেছে আবুল কালাম ওরফে হিরাম মাস্টারের বিরুদ্ধে। গত সোমবার নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই (মধ্যপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
বর্তমানে গুরুতর আহত আমিনুল ইসলাম আশংকাজনক অবস্থায় মমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার পরপরই স্থানীয় জনতা শিক্ষক আবুল কালাম ওরফে হিরাম মাস্টার, মাস্টারের পুত্র অমিত ও স্ত্রী রওশন আরাকে ঘরের ভিতর আটক করে।
পরে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং সেখানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, আহত আমিনুল ইসলাম সিংদই মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের পুত্র। সে খোকন মিয়ার পুত্র তুহিনের চাচাতো ভাই। দীর্ঘদিন যাবত তুহিনের (১৯) সাথে একই গ্রামের মৃত আ. বারেকের পুত্র সুনু মিয়ার কন্যা সারমিন আক্তারের (১৫) প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। তারা দুইজনেই সম্পর্কে প্রতিবেশী চাচাত ভাই-বোন হয়।
গত ৪/৫দিন পূর্বে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। বিষয়টি জানতে পেরে গত রোববার মেয়ের পরিবারের সদস্যরা ছেলের বাড়িতে গিয়ে নানা হুমকী দেয়। এতে আমিনুল ইসলাম প্রতিবাদ করায় সারমিন আক্তারের চাচা হাওলাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম ওরফে হিরাম মাস্টার খুবই ক্ষিপ্ত হন।
গত সোমবার তুহিনের চাচাতো ভাই আমিনুল ইসলাম বাড়ি থেকে দোকানে যাবার পথে হিরাম মাস্টার তাকে বাড়িতে ডেকে এনে চুরিকাঘাত করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টিএইচ