শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

নান্দাইল জনবল সংকটে ৫০শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত   

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

নান্দাইল জনবল সংকটে ৫০শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত   

ময়মনসিংহের নান্দাইলে জনবল সংকট ও নানান সমস্যা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা সদর হাসপাতাল। এছাড়া হাসপাতালটির ভিতর ও বাহিরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যথেষ্ট ত্রুটি রয়েছে। ফলে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। 

হাসপাতালে জনবল সংকটের কারণে উপজেলার প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। তবে হাসপাতালে সন্তান প্রসবে সাধারণ ডেলিভারি ও সিজারীয়ান ডেলিভারির সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর ভাট যোগদানের পর থেকে সাধারণ ডেলিভারির সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

ওই হাসপাতালে সরকারি মঞ্জুরীকৃত পদের সংখ্যা ২৪১ জন। অথচ বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৭২ এরও কম। ৬৯টি পদ দীর্ঘদিন যাবত শূন্য রয়েছে। বিশেষ করে ডাক্তার পদ শূন্যতা রয়েছে সবচেয়ে বেশী। বর্তমানে ১৩জন মেডিকেল অফিসার ও ৫ জন জুনিয়র কনসালটেন্টের পদ শূন্য রয়েছে। 

তৃতীয় শ্রেণির পদ ১৭৮টি পদের মধ্যে কর্মরত ১৫০, শূন্য আছে ২৮জন। হাসপাতালে ২টি ইসিজি, ১টি এক্সরে ও ১টি আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন সচল রয়েছে। তবে বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা জেনারেটর মেশিন সচল না থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে হাসপাতালে থাকা রোগী ও রোগীর স্বজনদের। হাসপাতালে সরকারি ৪টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে ৩টি অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যে অ্যাম্বুলেন্সটি ভালো আছে, তাও প্রায় সময়ই নানান সমস্যা থাকে বলে জরুরি প্রয়োজনে তা ব্যবহার করতে দেখা যায় না। 

রোগীদের টয়লেটের অবস্থাও নাজুক, যা ব্যবহার অনুপযোগী। অপরদিকে হাসপাতালের আউটডোরের অবস্থাও অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন। হাসপাতালটি সিসি ক্যামেরার আওয়তায় থাকা সত্বেও রোগীদের নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা জোরদার হচ্ছে না। প্রায়ই আউটডোরে ছিনতাইয়ের কবলে পড়া রোগী বা রোগীর স্বজনদের চিৎকার শোনা যায়।

 হাসপাতালে এক্সরে, রক্ত ও কফ পরীক্ষা, আলট্রাসনোগ্রাফিসহ বিভিন্ন সিজারিয়ান চিকিৎসাসেবা চালু হলেও হাসপাতালে আয়া, ওয়ার্ড বয়, ক্লিনার ও দারেয়ানসহ পরিচ্ছন্নতাকর্মীর জনবল শূন্য থাকায় রোগীদের সেবা প্রদানে যেন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

মাত্র দুজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজ করানো হচ্ছে। যা দিয়ে পুরো হাসপাতালটি পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব নয়। পাশাপাশি হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কোয়ার্টারগুলো প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। যা বসবাসের অনুপযোগী।

এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর ভাট বলেন, অত্র হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অভাব, মাত্র একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী আছে। ফলে সবকিছু যথাসময়ে পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এখানে মাস্টাররোলে কয়েকজন লোক কাজ করছে। 

এছাড়া হাসপাতালে জনবল সংকট ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৩টি অ্যাম্বুলেন্সের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

টিএইচ