শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে চলমান দাখিল পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও উত্তর সংগ্রহ করার অপরাধে ১৫ জন ও নকল করার দায়ে আরও তিনজনসহ মোট ১৮ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া দায়িত্বের অবহেলার কারণে ৭ শিক্ষককে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
জানাগেছে , গত বৃহস্পতিবার নালিতাবাড়ী তারাগঞ্জ ফাজিল মাদরাসা ও আব্দুল হাকিম স্মৃতি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে চলমান দাখিল পরীক্ষার গনিত বিষয়ে পরীক্ষা চলছিল। এ সময় ফাজল মাদরাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী স্মার্ট ফোনে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে প্রশ্নপত্র বাহিরে পাঠিয়ে উত্তর সংগ্রহ করে খাতায় লেখছিল।
এমতাবস্থায় নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) পরিদর্শনের সময় নজরে আসে। পরীক্ষার্থীর থেকে মোবাইল নিয়ে দেখেন মোবাইলের সঙ্গে ওয়াইফাই সংযুক্ত, পরে তিনি অন্য পরীক্ষার্থীদের অনুসন্ধান করে আরও ১৫ পরীক্ষার্থীদের ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও উত্তর সংগ্রহের প্রমাণ পান।
তিনি এ বিষয়ে জানান, পরীক্ষার্থীরা পায়ের উরুতে রাবার স্টিক দিয়ে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে অসাধু উপায়ে অপরাধ সংগঠিত করছিল।
এ সময় উপজেলা কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইলিশায় রিসিলি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট আফরোজা আফসানা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ১৫টি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়। নকলের দায়ে ১৫ পরীক্ষার্থীসহ মোট ১৮ জনকে বহিষ্কার ও দায়িত্ব অবহেলার দায়ে ৫ শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয়। অপরদিকে আব্দুল হাকিম মডেল পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর উল্লেখ করে সিট নির্ধারণ না করায় ২ শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ বছর এই পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট ৫৩৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তারাগঞ্জ ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্র সচিব মাওলানা মো. শামছুদ্দিন বিষয়টি জানিয়েছেন।
টিএইচ