গত ৬ নভেম্বর থেকে ছেলে নিখোঁজের পর পরিবার ও এলাকাবাসী ধারনা করেছিলো মুস্তাফিজকে জ্বীনে নিয়ে গেছে। কিন্তু নিখোঁজের আটদিন পর বাড়ির প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গত ১৩ তারিখ থেকে এখনো বিভিন্ন সময়ে তার শরীরের আংশিক অংশ খুঁজে পায়।
যার মধ্যে ছিলো হাতের কিছু অংশের হাড়, মাথার চামড়াসহ কিছু চুলের অংশ, পায়ের হাড়, নারীভুড়িসহ মাংসের টুকরা। এ ঘটনায় পুলিশ মুস্তাফিজের বন্ধু নাইমকে আটক করেছে।
মোস্তাফিজুর রহমান নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার মসরইল (শংকরপুর) গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। মুস্তাফিজ মধুইল বিএল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় গনিত বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। ছেলের লাশ খুঁজে না পাওয়ায় পরিবার টুকরোগুলো ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফন সম্পুর্ন করে।
তবে মাঠের ধানক্ষেতে এখনো লাশের বিভিন্ন অংশ প্রতিদিন খুজে পাওয়া যাচ্ছে। মা মোসলেমা বেগম বলেন ছেলে শেষবার মাগরিবের ওয়াক্তে নামাজ পরার সময় কথা বলেছে। সেই ছেলেকে আর দেখা হয়নি তার। এখন শুধু প্রতিদিন লাশের টুকরা কুড়াতে হচ্ছে।
মোস্তাফিজের চাচা ইজাবুল মলবি বলেন, বন্ধু নাঈমের সাথে গিয়ে নাঈম ফিরে আসলেও আমার ভাতিজা ফিরে আসেনি। পরিবারের ধারনা ছেলের বন্ধু নাঈমকে ১০০ টাকা ধার দিয়েছিলো মোস্তাফিজ। সেটি বারবার ফেরত চাওয়ার ঘটনা তার পরিবার জানেন। নাইমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে আলামত সংগ্রহ করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, আটক নাঈমকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে খুনের সব রহস্য উদঘাটিত হবে।
টিএইচ