শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post
ভোটের মাঠে অর্ধশতাধিক প্রার্থী

নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে আ.লীগ-দাবি নিয়ে মাঠে বিএনপি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে আ.লীগ-দাবি নিয়ে মাঠে বিএনপি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গন। প্রার্থিতা জানান দিতে মাঠে নেমে পড়েছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টিসহ অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। 

আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকরা বলছেন, ছয়টি আসনই ধরে রাখতে কাজ করছে জেলা আওয়ামী লীগ। সে অনুযায়ী জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটিগুলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। 

বিএনপি বলছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে মানুষ বিএনপি প্রার্থীদের বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। 

কিশোরগঞ্জ-১ 

এ আসনটিতে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন, বর্তমান এমপি ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ শাফায়াতুল ইসলাম, সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু ও রাষ্ট্রপতি পুত্র রাসেল আহমেদ তুহিন।

বিএনপি থেকে এই আসনে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন জেলা কমিটির সাবেক সম্পাদক মাসুদ হিলালী। দল মনোনয়ন দিলে তিনি এবারও নির্বাচন করতে আগ্রহী।

এছাড়াও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন পেয়েছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, রেজাউল করিম খান চুন্নু, জেলা কমিটির সাবেক সম্পাদক ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানী, বর্তমান সহ-সভাপতি এড.শরিফুল ইসলাম শরীফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইলের নাম শোনা যাচ্ছে।

এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করতে চান জেলা সভাপতি আশরাফ উদ্দিন রেনু। এদিকে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল গণতন্ত্রী পার্টির জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাড. ভূপেন্দ্র চন্দ্র ভৌমিক এই আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী।

কিশোরগঞ্জ-২

এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান এমপি সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ, সাবেক এমপি সোহরাব উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু।

এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিকবারের এমপি মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান। তিনি বর্তমানে বহিষ্কৃত। এছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রুহুল আমিন আকিল, আশফাক আহম্মেদ জুন, সুইডেন প্রবাসী শহীদুজ্জামান কাকন ও পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. মো. জালাল উদ্দিন।

কিশোরগঞ্জ-৩ 

এ আসনের বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে তিনি একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হন। আগামীতে জাতীয় পার্টি পৃথকভাবে নির্বাচন করলে তিনি হবেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী।

এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আনম নৌশাদ খান, করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, শিল্পপতি এরশাদ উদ্দিন, মাহফুজুল হক হায়দারসহ অনেকেই।

বিএনপি থেকে এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুক, জেলা বিএনপির সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা ও অ্যাড. জালাল মোহাম্মদ গাউস।

কিশোরগঞ্জ-৪
এ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী রাষ্ট্রপতিপুত্র রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।তিনি হাওর উন্নয়ন তথা অবহেলিত হাওরের মানুষের কল্যাণে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। এ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাড. ফজলুর রহমান। এছাড়াও এ আসনে বিএনপি থেকে সৈয়দ অসীম ও ডা. ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী লাকীর নামও শোনা যাচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ-৫

এ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী বর্তমান এমপি মো. আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন। এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, নিকলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. বদরুল মোমেন মিঠু, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা শফিকুল আলম রাজন।

কিশোরগঞ্জ-৬
এ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী বর্তমান এমপি বিসিবির সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতিপূত্র নাজমুল হাসান পাপন। আগামীতেও তাকেই দলের একমাত্র সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য একক প্রার্থী রয়েছেন- জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম। 

টিএইচ