নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ভোটারদের মাঝে আস্থা তৈরি করে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব। নির্বাচনে দায়িত্বরত কেউ অবহেলা ও পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আগামী ৪ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের ৩৩ গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনে সাঘাটা-ফুলছড়ি আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সাথে জেলা প্রশাসক সম্মেলনকক্ষে এক মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা এ কথা বলেন।
প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রচার ও প্রচারণায় আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।’ সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
‘যতবার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না ততবার নির্বাচন কমিশন তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে সেটিকে সঠিক করার চেষ্টা করবে’ উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যতবার নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হবে ততবার তা বাতিল করবে নির্বাচন কমিশন।’ গত ১২ অক্টোবরের উপনির্বাচনে যেভাবে কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি, এ উপনির্বাচনেও তাই করা হবে।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময়সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা রিটার্নিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম, গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেনসহ আরো অনেকে।
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘সব পক্ষকে নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এবারও সব কেন্দ্রে ইভিএম ও সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনে আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। গত ১২ অক্টোবরের উপনির্বাচনের মত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেওয়া হবে না। এজন্য নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া মারা গেলে এই আসনটি শূন্য হয়। ফলে নির্বাচন কমিশন গত ১২ অক্টোবর ওই আসনে উপনির্বাচনের ব্যবস্থা করে। নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় নির্বাচন কমিশন ওই নির্বাচনটি স্থগিত করে পরে ৪ জানুয়ারি পুনর্নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।
পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারদের সাথে মতবিনিময় করেন।
টিএইচ