নীলফামারীর জলঢাকায় মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অপরাধে বাদী মোছা. মোর্শেদা বেগম নিজেই ফেসে গিয়ে জেল হাজতে। মোর্শেদা বেগম জলঢাকা উপজেলার কিসমত বটতলার সৈয়দ আলীর স্ত্রী। যাহার পিটিশন মামলা নং-০১/২০১৪।
গত মঙ্গলবার মিথ্যা মামলা করার অপরাধে বাদী মোছা. মোর্শেদা বেগমকে সিআর ১৬৮/২১ মামলায় সাজা পরোয়ানা মূলে জেল হাজতে প্রেরণ করেন নীলফামারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ বিচারক মো. আশিকুর রহমান।
জানা যায়, মোছা. মোর্শেদা বেগম আদালতে এই মর্মে অভিযোগ করেন প্রতিবেশী সহিত জমি নিয়া কলহ বিবাদ ও মামলা ছিল । সেই শত্রুতার জের হিসাবে মোখলেছুর, কাইয়ুম, রুবেল, রহিমা খাতুন, এহিয়া, আতিয়ার রহমান, রবিউল, মকছুদ আলী, রঞ্জনা বেগম, মমিনুর রহমান, শরিফা বেগমরা ইং ১১/০১/১৪ তারিখ সন্ধ্যায় মোর্শেদা বেগমের বাড়িতে প্রবেশ করে স্বামীর সহিত তর্ক বিতর্ক শুরু করে।
মোর্শেদা ও তার স্বামী চিৎকার করলে তারা মোর্শেদা ও তার স্বামীকে মারধর করতে থাকে। ওই অবস্থায় মোখলেছুর তার হাতে থাকা পেট্রোলের বোতলের মুখ খুলে শয়ন ঘরের চাটির মধ্যে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরে দিলে ঘর পুড়াইয়া দেয় মর্মে মামলা করেন। প্রথমে জলঢাকা থানা পুলিশ পরে ডিবি পুলিশ এবং সর্বশেষ সিআইডি তদন্ত করে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত পাওয়ায় আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেন।
ফাইনাল রিপোর্ট আদালত গ্রহণ করেন এবং আসামিদের ওই মামলা থেকে অব্যহতি প্রদান করেন।
পরবর্তীতে মোখলেছুর রহমান এ মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বাদী হয়ে সি আর ১৬৮/২১ জলঢাকা মামলা করেন। ওই মামলায় এজাহারকারী তার দাবি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সমর্থ হওয়ায় নীলফামারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ আসামি মোছা. মোর্শেদা বেগমকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন এবং সাজা পরোয়ানামূলে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
টিএইচ