নীলফামারীর ডোমারে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মোস্তাকিন ইসলাম ফরিদকে (২০) গ্রেপ্তার করেন ডোমার থানা পুলিশ। সে পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মৌজাপাঙ্গা গ্রামস্থ মো. রেয়াজুল ইসলামের ছেলে।
ডোমার থানার ওসি মো. মাহমুদ উন-নবী জানান, গত ৩০ মার্চ ৬ষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া স্কুলছাত্রী গরুকে খওয়ানোর জন্য ভুট্টাক্ষেত হতে ভুট্টা পাতা আনতে গেলে একই গ্রামের ফরিদ (২০) শেফালীকে ভুট্টাক্ষেতে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় ভিকটিম অন্তঃসত্ত্ব্বা হয়ে পরলেও লোকলোজ্জার ভয়ে সে গোপন রাখে।
পরিবারের সদস্যরা এক পর্যায়ে বুঝতে পারে কিশোরীর অন্তঃসত্ত্ব্ব্বা হওয়ার বিষয়টি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর হতে আসামি মোস্তাকিন পলাতক ছিলো। এক পর্যায়ে ভিকটিমের চাচা রবিউল ইসলাম ধর্ষণ সংক্রান্তে ডোমার থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। এজাহারের প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আসামির বিরুদ্ধে ডোমার থানার মামলা নং-১৭ করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুর স্যারের দিক নির্দেশনায় আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক টিম অভিযান পরিচালনা করে। বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনার এক পর্যায়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে আসামিকে ডিমলা থানাধীন মতিরবাজার এলাকা হতে এসআই রেজানুর রহমান সঙ্গিয় ফোর্সসহ গ্রেপ্তার করেন। আসামিকে আদালতে প্রেরনসহ ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
টিএইচ