পিরোজপুরের নেছারাবাদে (স্বরূপকাঠিতে) প্রেমের ফাঁদে ফেলে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে দবির শেখ ওরফে আকাশ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা বাদি হয়ে, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার রঘুনাথপুর গ্রামের লুৎফর শেখের ছেলে আল আমিন শেখ ওরফে মুন্না ও একই উপজেলার বানারজর গ্রামের আনোয়ার শেখের ছেলে দবির শেখ ওরফে আকাশকে আসামি করে নেছারাবাদ থানায় মামলা করেন।
পুলিশ আসামি আকাশকে গ্রেপ্তার করে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) পিরোজপুর আদালতে প্রেরণ করে এবং ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জন অফিসে পাঠিয়েছে। অপর আসামি আল আমিন শেখ পলাতক।
বাদির অভিযোগ জানা যায়, জলাবাড়ি গ্রামে জনৈক রুবেল হোসেনের মুরগীর ফার্মে আকাশ শ্রমিকের কাজ করতেন। পরবর্তীতে পাশ্ববর্তী কামারকাঠি গ্রামের ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে আকাশ। আকাশের কর্মস্থলে আসা যাওয়ার সুবাদে তার ভগ্নিপতি অপর আসামি মুন্না কৌশলে ছাত্রীর ফোন নম্বর সংগ্রহ করে প্রেমের প্রস্তাব দেয়।
গত শুক্রবার বিকেলে মুন্না ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে আকাশের কর্মস্থলে নিয়ে যায়। পরে দুজনে মিলে ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। নেছারাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) এইচ এম শাহিন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
আসামিকে পিরোজপুর আদালতে এবং ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি আল আমিন শেখ মুন্নাকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
টিএইচ