নোয়াখালীতে পৃথক স্থান থেকে দুই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ নভেম্বর) মরদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে, গত শুক্রবার রাতে জেলার সুবর্ণচর উপজেলা থেকে ও শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে কোম্পানীগঞ্জে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ড থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সেলিমের মেয়ে ফাহিমা আক্তার পপি ও তাছলিমা আক্তার তন্নি। তিনি কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আকবর হোসেনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, সুবর্ণচর উপজেলায় স্বামীর মুঠোফোনে সাবেক প্রেমিকের পাঠানো বার্তা ও ভিডিও নিয়ে অপবাদের জেরে আত্মহত্যা করেছেন নববধূ পপি। বিয়ের চারদিন পর গত শুক্রবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি সৈকত সরকারি কলেজে বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
অপরদিকে, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর ওপর অভিমান করে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের বাবার বাড়িতে শনিবার ভোরে তন্নি নিজের শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
চরজব্বর থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো.আবদুস সুলতান বলেন, স্বামীর ওপর অভিমান করে স্ত্রী গলায় ফাঁস দেয়। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেয়া হয়েছে।
টিএইচ