সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

নোয়াখালীতে রশিতে বেঁধে পিটুনিতে যুবকের মৃত্যুর ভিডিও ভাইরাল

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীতে রশিতে বেঁধে পিটুনিতে যুবকের মৃত্যুর ভিডিও ভাইরাল

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় গণপিটুনিতে গুরুত্বর আহত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, নিহত যুবক আগে থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত এবং একাধিক মামলার আসামি ছিল। এদিকে, ওই যুবককে রশি দিয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় বেধড়ক পেটানোর ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
  
গত শনিবার সন্ধ্যায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, একই দিন দুপুরে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের সূর্যনারায়নবহরস্থ ইসমাইল মুহুরীর বাড়ি থেকে ৪ যুবককে ছাত্র-জনতা গণপিটুনী দিয়ে একটি পাইপগানসহ যৌথ বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে। নিহত মো. আব্দুস শহীদ উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের চরমটুয়া গ্রামের মমিন উল্যাহ মুন্সির ছেলে।  

পুলিশ ও স্থানীয় স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইসমাইল মুহুরীর বাড়িতে স্থানীয় ছাত্র-জনতা ঘেরাও করে ১টি পাইপগানসহ আব্দুস শহীদ, মো. জামাল হোসেন, মো. জাবেদ ও মো. রিয়াদ হোসেনকে আটক করে বেধড়ক মারধর করে। 

খবর পেয়ে বিকেল যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ১টি পাইপগানসহ তাদের আটক করে সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করে। পরে আহত শহীদকে সন্ধ্যায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।  

পুলিশের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে জানতে নিহতের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক তাদের পাওয়া যায়নি। তাই তাদের বক্তব্য দেয়া যায়নি।  

এদিকে নিহত যুবক মো. আব্দুস শহীদকে পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি দাবি করে বিএনপির লোকজন তাকে হত্যা করেছে বলে দাবি করছে আ.লীগ। 

ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, পাকা মেঝেতে হাত ও হাতের বাহু বাঁধা অবস্থায় ফেলে রেখে শহদীকে ভারী লাঠি দিয়ে পুরো পায়ের মাংসপেশিতে নির্মমভাবে পিটাচ্ছে এক যুবক। আরেক ব্যক্তির এক হাতে মুঠোফোন অন্য হাত দিয়ে শহীদের হাতে বাঁধা রশি খুলছে। এরপর লাঠি হাতে থাকা যুবক তাকে মাথায়, মুখে লাথি মারছে।   
     
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবদুর রহমান বলেন, বিএনপির লোকজন এ ঘটনায় জড়িত কথাটা ঠিক নয়। সে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ছিল। স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে মারধর করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করে।  

সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ছাত্র-জনতা ঘেরাও করে চারজন সন্ত্রাসীকে আটক করে। শহীদ গণপিটুনিতে আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। আটকরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।  

টিএইচ