নোয়াখালীর সদর উপজেলায় দিনমজুর আব্দুর রহমানকে (৩২) জবাই করে হত্যার ৪৪ দিনপর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করে, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত করা হয়।
নিহত আব্দুর রহমান উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের লাতু ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনজমুর ছিলেন।
এতথ্য জানিয়ে সুধারাম থানার এসআই ফখরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ নেওয়াজ তানভীরের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে লাশের সুরতহাল ও ময়না তদন্ত শেষে একই দিন রাতে পুনরায় দাফন করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট দুপুরে পূর্ব শক্রতার জের ধরে একদল সন্ত্রাসী দিনমজুর আব্দুর রহমানকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর একই দিন বিকেল ৫টার উপলোর পূর্ব মাইজচরা গ্রামের দই বেপারী বাড়ির পাশে নিয়ে জবাই করে হত্যা করে।
তখন সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিহতের পুরুষ স্বজনেরা কেউ ঘটনাস্থলে লাশের পাশে যেতে পারেনি। নিহতের মরদেহ ঘিরে রাখে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। পরে রাত গভীর হলে মহিলারা রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। ৭ আগস্ট তাকে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
সুধারাম থানার এসআই ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, তখন আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে নিহতের স্বজনেরা মামলা করতে পারেনি। পরবর্তীতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ১৪ আগস্ট নিহতের পিতা বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে সুধারাম থানার হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
টিএইচ
