নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিকের কাঁচি মার্কার নির্বাচনি কার্যালয়ে গুলি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সেনবাগ উপজেলার বিজবাগ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মিঝি পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের সমর্থক মিস্টার মেম্বার জানান, কার্যালয়টি আমি দেখাশুনা করি। গত বৃহস্পতিবার রাতে কাঁচি মার্কার প্রচারণা শেষে নেতাকর্মীরা বাড়ি চলে গেলে একদল দুর্বৃত্ত হানা দিয়ে প্রথমে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। পরে পেট্রোল ঢেলে কার্যালয়টিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে চেয়ার টেবিলসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ ঘটনার জন্য নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনের আ.লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি মোরশেদ আলমের নৌকা মার্কার সমর্থকদের দায়ী করেছেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক।
তিনি বলেন, আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে এবং আমার ভোটারদেরকে ভয়ভীতি দেখাতে এমপি মোরশেদ আলম তার হেলমেট বাহিনী দিয়ে এসব করাচ্ছে। তবে আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, হামলা গুলি অগ্নিসংযোগ করে এবার কাঁচি মার্কার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী এমপি মোরশেদ আলম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বরং কাঁচি মার্কার লোকজন বৃহস্পতিবার ভোরে কাদরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদপুর খলিফা তোলা এলাকায় আমার নৌকা মার্কার নির্বাচনি কার্যালয় জ্বালিয়ে দিয়েছে।
সেনবাগ থানার ওসি মো. নাজিম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করা হবে। নির্বাচনের মুহূর্তে এসব ঘটনা স্পর্শকাতর, তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
টিএইচ