পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বিয়ের দাবিতে দেবীগঞ্জ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ উমাপতি রায়ের বাড়িতে অনশন করছেন মুন্নি রায় নামে এক তরুণী। অভিযোগের তীর উমাপতি রায়ের বড় ছেলে হিমেল রায়ের দিকে। মুন্নি রায় পৌর সদরের নারায়ণ চন্দ্র রায়ের মেয়ে। মুন্নি ঢাকার একটি কলেজে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত আছেন। আর হিমেল একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
গত শুক্রবার পারিবারিকভাবে অন্য মেয়ের সাথে হিমেলের আশীর্বাদের আয়োজন হচ্ছে এমন খবর পেয়ে মুন্নি বিয়ের দাবিতে উমাপতি রায়ের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও দফায় দফায় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেও তা ব্যর্থ হয়।
ভুক্তভোগী মুন্নি রায় জানান, ২০১৭ সালে হিমেল রায়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় মুন্নি। দীর্ঘ সাত বছরের প্রেমের সম্পর্কে মুন্নি একাধিকবার বিয়ের চাপ দিলেও হিমেল বিভিন্ন কৌশলে তা এড়িয়ে যান। সর্বশেষ গত শুক্রবার পারিবারিক সিদ্ধান্তে নিজ বাসায় অন্য মেয়ের সাথে হিমেলের আশীর্বাদের আয়োজন করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে মুন্নি গত বৃহস্পতিবার রাতে দেবীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং শুক্রবার বিয়ের দাবিতে উমাপতি রায়ের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এদিকে মুন্নি গত শুক্রবার বিয়ের দাবিতে উমাপতি রায়ের বাড়িতে গেলে কৌশলে পরিবারের সদস্যরা হিমেলকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন এবং মুন্নিকে বের করে দেওয়ার জন্য টানাহেঁচড়া করেন।
এদিকে চলতি মাসের পহেলা ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর জজ কোর্টে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে উভয়ই বিয়েতে আবদ্ধ হতে অঙ্গীকারনামা সম্পন্ন করেন।
ঘটনার দিন উমাপতি রায় জানান, আমার ছেলে যদি এখন আমার পছন্দেও বিয়ে করে তাহলেও আমি তাকে ত্যাজ্য ঘোষণা করব। (১২ ফেব্রুয়ারি) আদালতে গিয়ে আমি আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব। এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় মুন্নীর সাথে দেখা করতে গেলে বাড়ির মূল গেইট বন্ধ পাওয়া যায়। পরে উমাপতি রায়কে ফোনে সাংবাদিক পরিচয়ে গেইট খোলার অনুরোধ জানালে তিনি তার সহকর্মী শিক্ষকদের সাথে আলোচনা শেষ করে আসছেন বলেও কালক্ষেপণ করেন। পরে সাংবাদিকরা সেখান থেকে চলে আসেন।
মুন্নির বাবা নারায়ণ চন্দ্র রায় বলেন, হিমেলের সাথে তার মেয়ের সম্পর্কটি উভয় পরিবারই জানেন। তবে হুট করে অন্যখানে হিমেলের বিয়ে ঠিক হবে ভাবিনি। এখন মেয়ে যদি বাসায় ফিরে তাহলে আত্মহত্যা ছাড়া উপায় থাকবে না।
টিএইচ