সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

পটুয়াখালীতে চাঞ্চল্যকর শিশু রাতুল হত্যায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীতে চাঞ্চল্যকর শিশু রাতুল হত্যায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

গুমের ৭দিন পর পটুয়াখালীতে লবণ মাখা অবস্থায় পলিথিনে মোড়ানো শিশু রাতুলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
 
আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী গ্রামের মফেজ মাতুব্বরের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও পাশ্ববর্তী জৈনকাঠী ইউনিয়নের সেহাকাঠী গ্রামের এনছান হাওলাদারের ছেলে মো. হানিফ হাওলাদার (৪১)। এ ঘটনায় জেলা পুলিশ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিং করে।

রাতুল আউলিয়াপুর হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় শিশু রাতুলের পিতা গোলাম রহমান লিটন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। 

পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, গোলাম রহমান লিটন ঘরামীর ছেলে রাতুলকে সাইকেল ক্রয়ের জন্য ১৪ হাজার লোভ দেখিয়ে মালামাল লুটে নেয়ার পরিকল্পনা করে আনোয়ারসহ আসামিরা। 

তাদের পরিকল্পনা মতে ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ছেলে রাতুলের মাধ্যমে ঘুমের ঔষধ খাবারে মিশিয়ে তার বাবা, মা আছমা বেগম ও দাদী রিজিয়া বেগমকে অচেতন করে। পরিকল্পনা অনযায়ী আসামিরা গভীর রাতে ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে সামনের দরজা খুলে ঘর সংলগ্ন মালামালের ডেকোরেটর দোকান হতে সাউন্ড সিস্টেমের বিভিন্ন দামী সরঞ্জামাদি, অটোরিক্সার ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে যায়। 

পরবর্তীতে ঘটনা যাতে জানাজানি না হয় সে জন্য ঘটনার একমাত্র সাক্ষী ভিকটিম শিশু রাতুলকে রাতেই তাদের নিজ বসতঘরে মুখ চেপে ধরে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে নিয়ে যায় আসামি আনোয়ার। পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ড ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ভিকটিমের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ পূর্ব আউলিয়াপুর গ্রামের মো. জয়নাল বিশ্বাসের বাড়ির পিছনে পরিত্যক্ত টিনসেড ঘরের পশ্চিম দক্ষিণ কোনে ০৫ ফুট মাটির গভীরে লাশের গায়ে লবণ দিয়ে পলিথিনে মুড়িয়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখে আসামিরা। 

আসামিদের দেয়া তথ্যমতে চোরাইকৃত মালামাল আসামি মো. হানিফ হাওলাদারের বসত ঘরের পিছনে রান্না ঘরের মাটির নিচ হতে সাউন্ড সিস্টেমের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি এবং বসত ঘরের পিছনে ডোবা হতে অটোরিক্সার ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সদর থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে। মামলার তদন্ত চলছে।

টিএইচ