শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

পদ্মার ভাঙন কেড়ে নিচ্ছে গোয়ালন্দবাসীর রাতের ঘুম

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

পদ্মার ভাঙন কেড়ে নিচ্ছে গোয়ালন্দবাসীর রাতের ঘুম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সি বাজার নামক এলাকায় নতুন করে দেখা দিয়েছে পদ্মার ভাঙন। এতে প্রতিদিনই ফসলের জমি ঘরবাড়ি ও মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল কবর নদীতে বিলীন হচ্ছে। কান্না আর আহাজারিতে নির্ঘুম রাত কাটে পদ্মা পাড়ের মানুষদের। 

বুধবার (৯ অক্টোবর) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সিবাজার এলাকা ও কাউয়া জানি এলাকা এবং দৌলতদিয়া ৫নং ফেরিঘাট জামে মসজিদ ও ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। 

ভাঙনের কারণে দেবগ্রাম ইউনিয়ন ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন মানচিত্র থেকে বিলীন হতে বসেছে। জরুরিভাবে নদীভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেয়া না হলে যতটুকু আছে সবগুলোই নদীতে চলে যাবে।

কৃষক খবির সরদার বলেন, আমাদের ঘরবাড়ি তিনবার নদীতে চলে গেছে। তারপর এসে কাউয়া জানি এলাকায় বাড়ি করেছি। এখন আবার নদীতে চলে গেছে আমার বসতবাড়ি। এখন আমি কোথায় বাড়ি করব আমি কোন কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আমার ফসলি জমি নদীতে চলে গেল বাড়িটিও নদীতে চলে গেল। এখন আমি কোথায় যাব কি করে খাবো। এখন আমার দাবি সরকারের কাছে বস্তা ফেলে নদীটি শাসন করা হোক।

কৃষক জুলহাস সরদার বলেন, আমাদের অনেক ফসলি জমি ছিল। সব জমি নদীতে চলে গেছে। আমাদের ঘর বাড়ি চারবার নদীতে ভেঙে চলে গেছে। আজ কয়েক বছর ধরে মুন্সিবাজার, কাউয়াজানি এলাকায় বাড়ি করে অন্যের জমি নিয়ে আবাদ করে কোনরকম জীবনযাপন করছি। আবারও নতুন করে নদীভাঙন দেখা দেয়ায় চরমভাবে নদীভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছি।

দেবগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, তিনবারের এমপি নদী শাসন করে দিবে বলে অনেক আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত কোন কিছুই হয়নি। নদী শাসন না করা হলে এ চর থাকবে না। আমরা যে কোনো কিছু করব আমাদের হাতে তেমন কোনো বরাদ্দ নেই।

গোয়ালন্দ ইউএনও জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, আমি সেখানে গিয়েছিলাম এবং নদী ভাঙনের বিষয়ে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়েছি ও ডিসিকে চিঠি দিয়েছি। মিটিংয়ে বারবার নদী ভাঙনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। নদী ভাঙনের বিষয়টি সকালকে জানিয়েছি। আশা করি শিগগিরই সমাধান পাবো।

টিএইচ