নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার আয়তন ২১০০বর্গ কিলোমিটার। দ্বীপটিতে প্রায় ৭ লাখ মানুষের বসবাস। প্রচন্ড শীতেও দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। বাড়ছে মেঘনা নদীর তীরে অতিথি পাখিদের বিচরণ।
চলনবিলের পানি শুকিয়ে গেছে। বিশেষ করে নিঝুমদ্বীপ, এম আলী লালচর সমুদ্র সৈকত, নিমতলী সিবিচগুলোতে পর্যটকদের পাশাপাশি এখন যেন পাখিদের অভয়ারণ্য। ঘুরতে আসা পর্যটকদের হাতিয়ার প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যসহ পাখিদের অভয়ারণ্য মুগ্ধ করছে।
ঢাকা সাভার থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক মো. আমানুল্লাহ বলেন, হাতিয়ার প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমির পাশাপাশি প্রতিটি পাখির অভয়ারণ্য আমাকে মুগ্ধ করেছে।
স্থানীয়দের মধ্যে মো. সালাউদ্দিন বলেন, খাবারের লোভে প্রতিবছর শীত মৌসুমে ঝাঁকে-ঝাঁকে অতিথি পাখি চলনবিল এলাকায় আসে। রং-বেরঙের বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলকাকলিতে ভরে ওঠে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। তবে বর্ষার পানি শুকিয়ে যাওয়ার সঙ্গে পাখিরা জড়ো হতে থাকে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার কেওড়া বনগুলোতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার এম আলী লালচর সমুদ্র সৈকতের তীরের মেঘনায় কয়েক হাজার পাখি। তাদের হাঁক-ডাকে মুখরিত পুরো মেঘন, দলে-দলে বালিহাঁস মেঘনায় সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে। গাছের ডালে বসে আছে ছোটো পানকৌড়ি, বড়ো পানকৌড়ি, সাদা বক, ধুসর বক ও মাছরাঙ্গা। মাঝে মধ্যে গাঙচিলের আক্রমণে পাখিগুলো গাছের ডাল ও পানি থেকে ঝাঁকে বেধে উড়ে উঠছে। সব মিলিয়ে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।
এ বিষয়ে বুড়িরচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণের স্বার্থে স্থানীয়দের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে রাখা হয়েছে বিশেষ নজরদারি।
টিএইচ