খুলনার পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল্ মামুন কর্তৃক রোগীর স্বজন ৪ শ্রমিককে কলম দিয়ে খুঁচিয়ে আহত করার ঘটনায় তদন্ত কমিটির তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং অভিযুক্ত মামুনকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত মৌখিকভাবে সব দাপ্তরিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
গত সোমবার সকালে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে পরিবহন শ্রমিকদের কাছ থেকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা অভিযোগের বিষয়ে শুনানি করেন। তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. সুজন কুমার সরকার, সদস্য ডা. সঞ্জয় কুমার মণ্ডল এবং আক্তার হোসেন ঘটনার দিন আহত ৪ শ্রমিকদের কাছ থেকে লিখিত জবানবন্দি নেন।
শ্রমিকদের দাবিতে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে অফিসিয়াল সব কর্মকাণ্ড থেকে তাকে মৌখিক নির্দেশে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তা ডা. সঞ্জয় কুমার মণ্ডল নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, গত ২০ জুলাই বিকেলে পাইকগাছা এসডি পরিবহনের ম্যানেজার শাহিনুর রহমান আসাদুল সানা নামে এক রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জরুরি বিভাগে ভর্তি করাতে নিয়ে আসেন।
এসময় জরুরি বিভাগের কক্ষে রোগীর চেয়ারে বসালে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন রোগী ও তার স্বজনদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। রোগীর স্বজন শ্রমিক নেতা শাহিনুর রহমান প্রতিবাদ করলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
খবর পেয়ে অন্য শ্রমিক নেতা গোলাম বারী খোকন, নুর আলী, শহিদুল ইসলাম হাসপাতালে এলে তাদের ওপর আবারো হামলা করে কলম দিয়ে খুঁচিয়ে আহত করে। এ ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রচারিত হলে নড়েচড়ে বসে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসন।
ইতোপূর্বে এই চিকিৎসক আগড়ঘাটা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে একইভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে আহত করে এবং চারজন গণমাধ্যমকর্মীসহ পাঁচজনের নামে মামলাও করেন। শ্রমিক নেতারা বলেন, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে যদি কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় অচিরেই তারা ২৬ রুটে গাড়ি বন্ধসহ কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
তদন্ত কর্মকর্তা ডা. সঞ্জয় কুমার মণ্ডল বলেন, সিসি টিভি ফুটেজ দেখে এবং প্রত্যক্ষ সাক্ষীদের লিখিত বয়ানের ভিত্তিতে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
টিএইচ