অবশেষে পেঁয়াজ উৎপাদনের জেলা পাবনায় পাইকার ও খুচড়া বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম কমেছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মনে। দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের দাম কমছে।
জেলার সুজানগর শ্রীপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আকবর আলী বলেন, দেড় বিঘা পেঁয়াজ আবাদ করেছি। আজ বাজারে পেঁয়াজ আনছিলাম। ৩৪শ থেকে ৩৮শ সবচেয়ে ভালো পেঁয়াজ বিক্রি করেছে। আর তার নিচের পেঁয়াজ ৩২শ থেকে ৩৩শ টাকা মণ বাজার পেয়েছি। পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, নতুন পেঁয়াজ ৩৩শ থেকে ৩৮শ টাকা।
আর পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা মণ দরে। দু এক দিনের মধ্যে আরো দাম কমে যাবে। এখন আমদানি হচ্ছে। প্রতি দিন থেকে ৩শ টাকা মণে কমবে বলে জানান তিনি। এদিকে দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় খুচড়া বাজারে দাম কমে বিক্রি হচ্ছে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা দরে। যেটি দুইদিন আগেও ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
একদিকে নতুনের সরবরাহ বৃদ্ধি, অন্যদিকে ক্রেতা কম-দুইয়ে মিলে দেশি পুরান পেঁয়াজের দামও কেজিতে কমেছে ৪০ টাকা। বর্তমানে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। ঢাকার পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেন, গত শনিবার পাবনার চিনাখড়া বাজার থেকে নতুন পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৮ হাজার থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা মণ দরে।
আর আজ পুরান পেঁয়াজ কিনলাম সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকায়। আর নতুন ভালো মানের পেঁয়াজ ৩৮শ থেকে ৪ হাজার টাকা মণ দরে। তারা বলছেন, পেঁয়াজের দর পতনে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
জেলা কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পাবনায় ৫৩ হাজার ২৭ হেক্টর জমিতে ৭ লাখ ৬৩ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮শ টন। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
টিএইচ