বদলে গেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা ভূমি অফিসের চিত্র। সহকারী কমিশনার (ভূমি) বনি আমিন শৈলকুপা ভূমি অফিসে যোগদানের পর থেকেই কমতে শুরু করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। নেই কোন দালালের আনাগোনা।
সাধারণ জনগণ কোনো কাজ নিয়ে গেলে কোন ভোগান্তি ছাড়াই তাদের ন্যায়সঙ্গত কাজগুলো স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করে নিয়ে আসে। দালালমুক্ত ও জনবান্ধব কাজে খুশি সেবা নিতে আসা উপজেলার সাধারণ মানুষ।
তিনি বাল্যবিয়ে, মাদক, জুয়া থেকে শুরু করে যেকোনো অপকর্ম রুখে দিতে বিধি মোতাবেক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। শৈলকুপার প্রাণ কুমার নদী যখন মাছশূন্য হয়ে যাচ্ছিল তখন বেশ কয়েকবার কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে তিনি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে হাজার হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলে নদীকে মাছশূন্য থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন।
বর্তমানে তিনি শৈলকুপা ভূমি অফিসকে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিয়েছেন।
শৈলকুপায় বেশকিছুদিন হলো জনভোগান্তি কমাতে ভূমি অফিসে ই-নামজারি চালু হয়েছে, যার মাধ্যমে যেকোনো স্থান থেকে নামজারির আবেদন করতে পারবে সাধারণ জনগণ। অনলাইন সেবা চালুর পর থেকে সরকারি সম্পত্তি রক্ষা, নামজারি দ্রুতকরণ, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিসহ ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা সহজ হয়ে গেছে। খাজনা খারিজ, ডিসি আর এখন অনলাইনের মাধ্যমে সহজে করা যাচ্ছে। খাজনা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ বেড়েছে।
খাজনা খারিজ করতে আসা হাসনাভিটা গ্রামের নেকবার হোসেন জানান, বনি আমিন স্যার আসার পর থেকেই আমরা হয়রানি ভোগান্তি ছাড়াই কাজ করতে পেরে আনন্দিত। এরকম কর্মকর্তা প্রত্যেক অফিসে থাকলে সরকারের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) বনি আমিন বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে যতটা পারি সরকারি দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করি, এটা আমার দায়িত্ব, এর বেশী কিছু না। সাধারণ মানুষের হয়রানি রোধে সবসময় কাজ করে যাবো। ভূমি অফিসে কোন অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না।
টিএইচ