রংপুরের পীরগঞ্জে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই হেলাল নিহত। ঘটনাটি মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পীরগঞ্জ পৌরসভার ওসমানপুর বৈরাগীপাড়ায় ঘটেছে। নিহত হেলাল ৯নং পীরগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আ. রহমানের (গাটু রহমানের) ছেলে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ছোট ভাই মহিবুল (৩৫) ও মেয়ের জামাই মালেকের সাথে নিহত হেলাল মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে জমি ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। হেলাল জীবন জীবিকার তাগিদে সেটেলমেন্টে জমি সংক্রান্ত দালালি করত। অপরদিকে সংসারের অভাব অনাটনের কারণে সে চুরি করত।
তার নামে পীরগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গত ২৫ জুলাই রংপুর আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি ওসমানপুরে আসেন।
বাসায় রাতে খাবার খেয়ে অনুমান ১:১০ ঘটিকার সময় পান ও সিগারেট আনার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে বৈরাগীপাড়া জনৈক্য ক্ষিতীশ বাবুর মুদির দোকানের সামনে পৌঁছামাত্র পূর্ব শত্রুতার জেরে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা ঘাতক মহিবুল ও বোন জামাই মালেক তার রাস্তা অবরোধ করে উভয়ের মধ্যে তর্ক-বির্তকের একপর্যায়ে ছোট ভাই মহিবুলের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হেলালের পেটে আঘাত করে।
রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি করে তাকে চিকিৎসার জন ঘাতক মহিবুল ও মালেক একটি রিকশা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। তাৎক্ষণিক হেলালের মরদেহ হাসপাতালে রেখে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত হেলালের স্ত্রী মালেকা বেগম বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যামামলা করেন।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার জানান ইতোমধ্যেই এজাহারভুক্ত ৪ আসামির মধ্যে মহিবুলের স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টিএইচ