প্রচন্ড তাপদহে সাতক্ষীরাসহ সারা দেশের মানুষ বিপর্যস্থ। চারিদিকে কেবল তাপদাহ তা নয় ভ্যাপসা গরম জনজীবনের সঙ্গী হয়ে জীবন যাত্রাকে অস্থির করে তুলেছে। রমজান মাসের রোজার দিনগুলোতে তপ্ত হাওয়া, রৌদ্রের প্রচন্ড প্রখরতা রোজাদারদের জীবন বিমর্ষ করে তুলেছে, চৈত্র মাসে দুপুর বেলায় আগুন হাওয়া বয়।
গত দুই দিন যাবৎ গ্রীস্মের মাঝে সকালে কুয়াশা আবরণ দৃশ্যতঃ রৌদ্রে প্রচন্ড তাপদাহ হতে তাপদাহের বিকিরণ ঘটাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন অসময়ের কুয়াশা তাপমাত্রাকে অধিক হতে অধিকতর অসহনীয় করে তুলেছে।
বর্তমান সময় সাতক্ষীরার মাঠে মাঠে ধান কাটার উৎসব চলছে। তাপ আর ভ্যাপসা গরম হাওয়াকে সঙ্গী করে শ্রমিকরা জীবন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে ধান কেটে চলেছে। গলা শুকিয়ে যাওয়া, শরীর অবশ হওয়ার অসহনীয় বিপর্যস্থ হাত পা নিয়ে প্রয়োজনের তাগিদে ধান কাটা চলছে, অতি তাপপ্রবাহের কারন হেতু জেলার পুকুর ও জলাশয়গুলো পানি শুন্যতার শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। জনসাধারণ পুকুরে গোসল করার পর্যাপ্ত পানিও পাচ্ছে না, টিউব অয়েলগুলোতে যথাযথ পানি উঠছে না, পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তথা পানিপ্রবাহ কম হওয়ায় মাছ মরতে শুরু করেছে।
চিংড়ী ঘেরগুলো পানি শুন্যতার কবলে পড়েছে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে সাদাসোনা খ্যাত চিংড়ীতে মড়ক শুরু হয়েছে। চিংড়ী শিল্পের এমন করুন অবস্থা কেবলমাত্র পানি শুন্যতার কারণে। ঘরে বাইরে সর্বত্র তাপদাহের সীমাহীন অবস্থান। দুপুরে কেবল গরম নয় রাতেও আবহাওয়া মারমুখি গুমসোর কারণে জনজীবনে সামান্যতম স্বস্তি আসছে না।
গত কয়েকদিন যাবৎ মানুষজন ঘর ছেড়ে গাছের তলায় দুপুরের তপ্ত হাওয়া থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অভিমত প্রচন্ড গরমে বিশেষ করে দুপুরের প্রখর রৌদ্রে বের না হওয়াই ভাল কারন প্রচন্ড তাপদাহের কারণে যেকোন সময় হিটস্টোক হতে পারে। তাই জীবন বাঁচাতে সাবধানতা অবলম্বনের বিকল্প নেই। এই মুহুর্তে বৃষ্টিপাতই একমাত্র তাপদাহ হতে সাতক্ষীরাসহ সারা দেশের জনজীবন মুক্তি পেতে পারে।
টিএইচ